Home Featured Magnificent House: মাত্র দুশো আশি টাকায় ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটের মালিক, কোথায় মিলছে এমন সুযোগ?

Magnificent House: মাত্র দুশো আশি টাকায় ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটের মালিক, কোথায় মিলছে এমন সুযোগ?

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটের মালিক (Magnificent House) হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সবাই-ই। কেউ হলফ করে বলতে পারবেন না তিনি এমন স্বপ্ন দেখেন না। কারণ ওরকম ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারলে সমাজে স্টাটাসটাই যে পাল্টে যায়। চেনাজানা থেকে আত্মীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে অফিসের কলিগ-সবার কাছেই আলাদা সমীহ পাওয়াটা আর কোনও ব্যাপার নয়। যদি বলা হয়, ফ্ল্যাটটা এখানে নয়। সাত সাগরের পারে, সুদূর ব্রিটেন (Britain)। যেদেশের প্রধানমন্ত্রী এখন ঋষি সানুক। মানে যাঁর মধ্যে ভারত-ভারত গন্ধ আছে। তার মানে বিলেত? তাহলে তো কথাই নেই। যে ফ্ল্যাটটার মালিক হওয়ার হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আসল দাম কত জানেন? জানলে মাথা ঘুরেও যেতে পারে। কারণ দাম তিন কোটি সত্তর লক্ষ টাকা। আপনি হয়তো বলতেই পারেন মশাই ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি। কেন মশাই খামোখা এমন মজা করছেন। বসার ঘর থেকে শুরু করে রান্নাঘর-মনেই হতে পারে এমন সুন্দর ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া কী মুখের কথা। এখানেই শেষ নয়। চোখ ধাঁধানো এই রাজকীয় ফ্ল্যাটের সঙ্গে রয়েছে চোখ ধাঁধানো আসবাবপত্র।

সেগুলো দেখলে থমকে যেতে হবে। যদি ভাড়া দেওয়া হয়, তাহলে এই বাড়ির ভাড়া হিসেবে মাসে গুনতে হবে এক লক্ষ অষ্টআশি হাজার টাকা। কিন্তু ফ্ল্যাটের মালিক যাঁরা, সেই তিন ভাই ড্যানিয়েল,জেসন ও উইল টোয়েনেফোরের এখন টাকার বড্ড দরকার। তাই তাঁরা আস্ত ফ্ল্যাটটাই বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু বললেই তো আর ক্রেতা পাওয়া যায় না। এতগুলো টাকা এই মাগ্গি গণ্ডার বাজারে একরকম মুশকিল। সারা দুনিয়াই এখন ধুঁকছে। মুদ্রাস্ফীতি থেকে আর্থিক মন্দা, গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো করোনার মারণ গ্রাসের জেরে একরকম বিধ্বস্ত গোটা দুনিয়া। তাই তাঁরা দারুণ একটা উপায় বের করেছেন। সেই উপায়টা হল লটারির। লটারির টিকিট ভারতীয় মুদ্রায় দুশো আশি টাকা। এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টিকিট বিক্রি করার পর যিনি লটারিতে জিতবেন, তিনিই মালিক হবে এই রাজকীয় ফ্ল্যাটের। যদি সব টিকিট বিক্রি না হয়, তাহলে বিজয়ীকে বিক্রি হওয়ার টিকিটের সত্তর শতাংশ দেওয়া হবে। ড্যানিয়েল টয়েনফোর নামে একভাই জানিয়েছেন প্যানডেমিকের সময় প্রথমে তাঁর নিজের সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে দুটি মর্টগেজ ছাড়ানোর জন্য টাকা দিতে হচ্ছিল। তাই ওই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে প্রথম প্রতিযোগিতার পর মেসেজ আর ইমেলের বন্যায় ভেসে গিয়েছিলেন তাঁরা। সবাই আবার ওইরকম লটারি করার অনুরোধ করেছিলেন।

You may also like