মহানগর ডেস্ক : রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ধসে এখনও পর্যন্ত ৮জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়েছে। ধৃত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে।
সোমবার সকালেই এখানকার বিধায়ক রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয় মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কাউন্সিলর কিছু জানেন না। বিষয়টি প্রশাসনিক।” এরপর সোমবারই ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতা পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিশারকে শো-কজ করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাড়িটা উঠল কী করে? আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। টক টু মেয়রেও বলেছি। বেআইনি নির্মাণের শুরুতেই ধরব। বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে, মানুষ সেখানে থাকতে শুরু করলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এ সব কেন হবে? শুরুতেই আটকে দিলে তো এ সব ঘটে না।’’ এদিকে মেয়রের এই মন্তব্যের উত্তরে বাম,বিজেপি উভয়েই অভিযোগ করেছে, কলকাতা পুরসভার সব কিছু স্থানীয় কাউন্সিলররা জানেন। সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “খোঁজ নিলেই জানা যাবে এসব বেআইনি নির্মাণ থেকে কাউন্সিলররা টাকা খান।”
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেছেন, “ফিরহাদ হাকিমের নাকের ডগায় এই ঘটনা ঘটল তিনি জানেন না? অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকে।” এদিন ঘটনাস্থলে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ গেলে তাঁকে পুলিশ বাঁধা দেয়, ঢুকতে দেয়নি ঘটনাস্থলে। সজল ঘোষ বলেন, “কাউন্সিলর জানেন না? কলকাতা পুরসভার এলাকার কোনও এলাকায় একটা জানালা কেউ বানালে অদৃশ্য হাত এসে যায়, আর কাউন্সিল জানে না? আমি বিরোধী হিসাবে কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলাম। আমার বাপ,মা,দাদু,ঠাকুর্দা উদ্ধার করেছে।”তবে পুলিশি বাঁধা অতিক্রম করে গার্ডেনরিচের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “এখানে পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ চলছে। সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম যখন এলেন, তখন তাঁদের গার্ড করে নিয়ে গেল পুলিশ। আর তার পরেই পুলিশ আমাদের আটকাচ্ছে।”