মহানগর ডেস্ক: চার দফায় নির্বাচন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি এখনও তিন দফা। বাংলায় নিজেদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে মরিয়া বিজেপি। ঠিক এই কারণেই ঘন ঘন নির্বাচনী সফরে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দেশের একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতারা। বাংলায় আসন সংখ্যা নিয়ে একাধিকবার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের একবার অমিত শাহ জানালেন বঙ্গে বিজেপি কত আসন পাবে। তবে যে টার্গেট আগে দিয়েছিলেন সেটা এবার কম শোনা গিয়েছে শাহের গলায়। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন অমিত শাহ বলেছেন, “বাংলার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। মমতার সরকারকে উপড়ে ফেলে দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। বাংলার মানুষ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপিকে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবে।” এমনি শাহ এদিন এটাও বলেছেন, “আমি জোর গলায় বলতে পারি, বাংলায় BJP ৩০টির বেশি আসন পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকা টিকবে না।” এখানেই শেষ নয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরে যাবে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলার জনতার মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর আস্থা হারাচ্ছে । জনাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কিছু করতে হবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের নেওয়া একটার পর একটা সিদ্ধান্তের জন্যই বাংলা শাসকদলের প্রতি বিরূপ। সে রাজ্যের জনতা BJP-কেই ভোট দেবে।” এদিন ভোটের সময় বঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শাহ। বলেন, “বাংলায় ভোটের পর হিংসা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জন্যই। ভোটের পর কেউ দলবদল করলে তাদের খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানো হয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সত্ত্বেও এই রাজ্যে এত অত্যাচার। তবে এবার প্রথম বাংলায় হিংসা কম।”
তবে এই ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যেও চর্চা কিছু কম হচ্ছে না। কারণ শুরুর দিকে অমিত শাহই বঙ্গে ৩৫ আসন জয়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের সেই টার্গেট কমিয়ে ২৪-এ নামিয়ে আনলেন কেন এই প্রশ্নই উঠছে। তবে কি কোনও সমস্যা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। আস্থা নেই নেই ৩৫ আসন পাওয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।