মহানগর ডেস্ক: ফের দুর্ঘটনার সম্মুখীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুর থেকে কুলটি যাওয়ার পথে এই বিপত্তি ঘটেছে।
বিস্তারিত আসছে…
মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রাথী দিলীপ ঘোষ। সন্দেশখালির মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এতো অস্ত্র আসা জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক বলে দাবি করেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
দিলীপ ঘোষ সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় সিবিআই ও এনএসজির যৌথ অপারেশনে বিপুল অস্ত্র, বোমা, কার্তুজ উদ্ধার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,” শাহজাহান যখন সিপিএমে ছিল তখন পিস্তল নিয়ে ঘুরত, এখন একে ৪৭ নিয়ে ঘুরছে। সন্দেশখালির মতো একটা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই দেশ বিরোধী গতিবিধি, এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে চিন্তার বিষয়। আমি দাবি করছি এখনই কেন্দ্র এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। শাহজাহান বাহিনী ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত যারা ইডির উপর হামলায় যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
দিলীপ ঘোষ এদিন শেখ শাহজাহানকে রোহিঙ্গাদে আশ্রয়দাতা বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “আমরা বার বার বলছি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে সন্দেশখালিতে ডেরা বানিয়েছে শেখ শাহজাহান। ওরাই পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। তারপর ট্রাকে করে এই রোহিঙ্গাদের সারা দেশের এদিক ওদিক পাঠায়।”
দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীও সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মূল দায়ী বলে অভিযোগ করেন। শুভেন্দু বলেন, “এই অস্ত্র লুকিয়ে রাখার মূলে পুলিশ। এই পুলিশই শেখ শাহজাহানকে লুকিয়ে রেখেছিল, ৫৪ দিন ধরে খুঁজে দিতে পারেনি। এরাই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অস্ত্র মজুত করেছে। তৃণমূলকে সিমি, পিএফআই-র মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
সিবিআই আধিকারিকরা অনুমান করছেন, এই অস্ত্র মার্কিন মুলুক থেকে এসেছে। খোলা বাজারে এই অস্ত্র বিক্রি হয় না। নিলামে এই অস্ত্র বিক্রি হয়। অস্ত্রের দাম ৭/৮ লক্ষ টাকা প্রতিটি রিভলভর, এমন তিনটি মার্কিনি রিভলভর উদ্ধার করা হয়েছে। যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার সর্বমোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। তাহলে কি শেখ শাহজাহান আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত? শেখ শাহজাহানের অস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেয়েছে সিবিআই। তবে এই লাইসেন্স থাকলেই বিদেশী অস্ত্র কেনা যায় না। সিবিআইর অনুমান, এই অস্ত্র আড়াল করতেই কি ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? এতো বিপুল অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় পেল শাহজাহান? সিবিআইর ধারণা সন্দেশখালিতে এমন আরও অস্ত্র ভান্ডার থাকতে পারে।
দিকে পার্থ ভৌমিক বলেন, “শেখ শাহজাহানের সঙ্গে দলের এখন কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার না করলে কি এসব উদ্ধার হতো? শাহজাহান এখন দলে নেই, তাই এসবের উত্তর আমরা কেন দেবো?”
মহানগর ডেস্ক : বাতিল হয়ে গেল বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। পুলিশের চাকরির ছাড়ার সময় রাজ্য সরকারের তরফে ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাঁর মনোনয়ন খারিজ হয়ে গেল।মনোনয়ন দাখিলের সময় এই ছাড়পত্র জমা দেওয়ার কথা। রাজ্যের সেই ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হল বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থী দেবাশিস ধর। তবে তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও কি ভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হল তা নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস।
এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ২৩ এপ্রিল। সেদিন বীরভূমে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য। অথচ মনোনয়নপত্র জমার সময় সেই ছাড়পত্র জমা করা দরকার বলেই খবর। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় বিজেপি।
বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অভিজ্ঞ আইনজীবীদের একটি টিম বীরভূমে এসে পৌঁছছে। তাঁরাই বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরকম কিছু হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্যের নামে বিকল্প প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যদিও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। তবে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করাবার সময় বলেছিলেন, “তৃণমূল কোনও কারসাজি করতে পারে, তাই দেবতনু ভট্টাচার্যকে বিকল্প প্রার্থী হিসাবে মনেনয়ন জমা করানো হল।”
<span;>এই পরিস্থিতিতে দেবাশিস ধর জানিয়েছেন, “আমরা উচ্চ আদালতে যাব, আপাতত দল আমায় যা বলবে, দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে সেই কাজ করব। নো ডিউজ সার্টিফিকেটের জন্য মনোনয়ন বাতিল না হওয়ার রায় আছে। আমরা সেটা নিয়ে আদালতে যাব। রাজ্য তো আমায় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আমার ইস্তফা গৃহীত হয়েছে ”
মহানগর ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেছে। এই রায়দানের পর শুক্রবার বাংলায় দ্বিতীয় দিন ভোট চলাকালীন মালদায় শ্রীরূপা মিত্র ও খগেন মুর্মুর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হয়েছে যে, ২৬ হাজার পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে। রুজিরুটি চলে গিয়েছে। যুব সমাজের উন্নতির সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল।’’ একই সঙ্গে বিজেপি সরকারের কাজের খতিয়ানও এদিন তুলে ধরের প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মঞ্চে উঠেই দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ভোট দেওয়ার বার্তা দেন। একই সঙ্গে বিরোধী তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্রথম দফার ভোটেই ধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে শুধু দুর্নীতি হয়। সব ধরণের দুর্নীতি হয়। এরা উন্নয়নকে আটকে রেখেছে। তৃণমূল দুর্নীতি করে আর মানুষকে ভুগতে হয়। বাংলার কাট কমিশন ছাড়া কিছু হয় না। কৃষকদেরও ছাড়ে না এরা।’’
মোদী এদিন বলেন, ‘‘বাংলায় ৫০ লক্ষেরও বেশি কৃষকদের জন্য আট হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তৃণমূল সরকার সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে নেয়। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আয়ুষ্মান প্রকল্পকেও আটকে দিয়েছে। মালদহের আমচাষিদের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সেখানেও কাটমানি চাইবে।’’
সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘‘সন্দেশখালি মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। মালদহেও মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল।’’
এদিন কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে রেখে তুষ্টিকরণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস এবং তৃণমূলের গোপন জোট রয়েছে। তুষ্টিকরণের জন্য এই দুই দল যা খুশি করতে পারে। তুষ্টিকরণের জন্য তৃণমূল এবং কংগ্রেস সিএএ বিরোধিতা করছে।’’
কংগ্রেস সম্পর্কে সম্প্রতি ভোটের মুখে নতুন অভিযোগ করছেন মোদী। সেই অভিযোগের রেশ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস পুরো দেশে মহিলাদের মঙ্গলসূত্র এবং আদিবাসীদের গয়নার হিসাব করবে। কংগ্রেস একটা এক্সরে মেশিন নিয়ে এসেছে। মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেবে। সেই সম্পত্তি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কগুলিকে দেবে। আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা অন্যদের হাতে চলে যাবে। তৃণমূল কিন্তু এর বিপক্ষে কোনও কথা বলছে না। গোপনে কংগ্রেসের এই বক্তব্যকে সমর্থন করছে। তুষ্ঠীকরণের প্রতিযোগিতা চলছে ওদের মধ্যে। তৃণমূল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আসছে।’’
মহানগর ডেস্ক : বালুরঘাটে আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটের মধ্যেই সুকান্ত মজুমদারকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান। অভিযোগের অভিমুখ তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পতিরামের ১০০ নম্বর বুথে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। কমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন।
বালুরঘাটের একটি বুথে বিজেপি কর্মীদের কাছ থেকে অভিযোগ পান সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কাছে খবর আসে বালুরঘাটের তপনে বিজেপি বুথ কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপির মহিলা কর্মীকে। এরপরেই সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী। তিনি বুথে যেতেই তাঁকে লখ্য করে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় সুকান্ত মজুমদারকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুরঘাটের পতিরাম গার্লস স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীদের। এই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল ভোটারদের প্রভাবিত করছিল বলে অভিযোগ। এই কাজে বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায় বাধা দিলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ ও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূলের কর্মীরা।
এদিকে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা ভোট কেন্দ্রের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছে। মুর্খরা জানে না বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে এভাবে স্লোগান দেওয়া যায় না। বিজেপি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছে তৃণনূল কর্মীরা। এই ঘটনায় দুই পক্ষের বচসায় কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ধস্তাধস্তি শুরু হয় ভোট কেন্দ্রের সামনে। এই সময় তৃণমূল কর্মীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় সুকান্ত মজুমারকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে জেলা শাসকের কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুকান্ত মজুমদার পুলিশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আপনারা তৃণমূলের এই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল সুকান্ত মজুমদারকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেয়। সুকান্ত মজুমদার পুলিশকে বলেন, আপনারা কেন কিছু করছেন না? কোনও ব্যবস্থা নেবেন না আমি আমার মতো করে ব্যবস্থা নেবো? পুলিশ আসলে তৃণমূলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।”
এদিকে তৃণমূলের তরফে সুকান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, এই বুথে কোনওদিন অশান্তি হয়নি। এই প্রথম সুকান্ত মজুমদার এসে অশান্তি করলেন।
মহানগর ডেস্ক : একটা সময় কনৌজ এবং সমাজবাদী পার্টি একে অন্যের পরিপূরক ছিল। ভারতের সংশদীয় রাজনীতিতে ১৯৯৮ থেকে টানা ১৯১৪ -র লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কনৌজ ছিল সমাজবাদী পার্টির দখলে। তবে পালাবদল ঘটে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। কনৌজ থেকে গত ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন অখিলেশ পত্নী ডিম্পল যাদব। বিজেপির প্রার্থী সুব্রত পাঠকের কাছে ১২হাজার ভোটে ডিম্পল সেবার পরাজিত হন। এবার সেই কনৌজ পুনরুদ্ধারে নেমেছেন অখিলেশ যাদব। এর আগে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে তেজ প্রতাপের নাম ঘোষণা করেছিল সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কনৌজে নির্বাচনে লড়াই করতে নেমেছেন অখিলেশ যাদব স্বয়ং। অতীতে অখিলেশের আগে তাঁর বাবা মুলায়মও এই আসন থেকে ভোট লড়েছেন। অখিলেশ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর ওই আসন থেকে সরে দাঁড়ান।অখিলেশ কনৌজ থেকে সরে গেলে ডিম্পল প্রাথমিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান। তবে, ২০১৯ সালের ভোটে পরাস্ত হন ডিম্পল। বৃহস্পতিবার নিজের কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিয়ে অখিলেন বলেন, এই ভোটে সমাপ্ত হবে বিজেপির নেতিবাচক রাজনীতির। তাঁর এই কেন্দ্র থেকে ভোট লড়া প্রসঙ্গেও বলেন, দলের নেতা কর্মীরা চেয়েছিলেন তিনি কনৌজ ত্থেকেই লড়ুন। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
মহানগর ডেস্ক : “আদালতের যে জজেরা এসএসসি মামলা শুনছিল তাঁদের একজন বিজেপির প্রার্থী। এক বিচারপতি বললেন বিজেপি আমায় বলেছে, আমিও বিজেপিকে বলেছি, তাহলে তো কলকাতা হাই কোর্টই তুলে দেওয়া উচিত। কলকাতা হাই কোর্টের একদল বিচারক বিজেপির সঙ্গে আছে। ম্যাচ ফিক্সিং দেখেছেন, এটা সেরকম।হাই কোর্টের রায়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিজেপির দুর্নীতি”, বাঁকুড়া থেকে বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলার রায়দান নিয়ে এই ভাবেই কলকাতা হাই কোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বুধবার রাতে একটি সভায় বলেছেন, “আগামী ৩০ তারিখ আরও ৫৯ হাজার জন প্রারথমিক শিক্ষকের চাকরি যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে। এদের ভোট দেবেন?”
গত রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহের প্রতমদিন বোম ফাটবে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে পড়বে। ফের অমরনাথ শাখা বললেন ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যাবে। অমরনাথ শাখার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই আদালত সম্পর্কে এই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচাপরতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বললেন, এমন হলে তো ভারত থেকে কলকাতা হাই কোর্টই তুলে দেওয়া উচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বা যে কোনও ভারতীয় নাগরিক আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের উচিত এই বক্তব্যের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা উচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য সম্পর্কে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, এসব বলে ওরা চাইছে আদালত তুলে দিয়ে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতাই থাকুক। এটা এক ধরণের স্বৈরাচারী মনেভাবের বহিঃপ্রকাশ।
একজন সাংসদ এ ভাবে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন কি? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
মহানগর ডেস্ক : কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ইডি-র তদন্তে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে যাওয়ার পর এবার সুজয়কৃষ্ণকে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করেছে সিবিআই। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে জেরা করতে চায় সিবিআই। শুধু সুজয়ই নয়, একই মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলকেও জেরা করতে চেয়েছে সিবিআই।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালূঘাটের কাকু’র কন্ঠস্বর নিয়ে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই টানাপোড়েনের ছেদ পড়ল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট জমা করে ইডি জানিয়ে দেয়, অডিয়ো ক্লিপে পাওয়া কন্ঠস্বরই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। ফরেন্সিক রিপোর্টেও এই একই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ওই অডিয়ো কিল্পে ‘কাকু’কে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। কন্ঠস্বর সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি-সিবিআই। কেন তদন্তের অগ্রগতি এত শ্লথ, তা জানতে চান বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন হবে। তার মধ্যে মামলার পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডি-সিবিআইকে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তৎপর সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এবার জেলে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করতে চাইছেন।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয় ও সম্পত্তির উৎস কী? তার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিরই বা কী যোগ রয়েছে?” উল্লেখ্য এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সরাসরি যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের। ইডি সে বিষয়টি আগেই আদালতে জানিয়েছিল। এবার এই তদন্তের অগ্রগতির জন্য সুজয়কৃষ্ণকে আরও একবার জেরা করতে চায় সিবিআই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণকে কবে সিবিআই জেরা করতে যায়।
মহানগর ডেস্ক : ভোটের উত্তাপ যত বাড়ে শাসক-বিরোধ অভিযোগ পল্টা অভিযোগও তেমনই বাড়তে থাকে। এবার বিহারের ভোটকে কেন্দ্র করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আরজেডি নেতা এবং বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। তেজস্বী বলেন, বিহারে ভোটারদের জন্য জে পি নাড্ডা ৫ ব্যাগ টাকা নিয়ে এসেছেন। এই টাকা যেখানে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানে তিনি বিতরণ করছেন। এজেন্সি তাঁকে সহায়তা করছে। দিল্লি থেকে তিনি ৫ ব্যাগ টাকা নিয়ে এসেছেন।
এখানেই শেষ নয়, বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, সোনার দাম দেখুন কোথায় গিয়েছে ? মহিলাদের গলায় মঙ্গলসূত্র নেই। ছিনতাইয়ের ভয়ে তাঁরা ভীত। তবে কংগ্রেস এবং আরজেডি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাধারণ মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে আসবে। এনডিএ এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে সাধারণ মানুষ কাকে বেছে নেবে তার উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ।
তবে তেজস্বী যাদব যখন বিহারে বলছেন এনডিএর ক্ষমতার অবসান ঘটিয়ে ইন্ডিয়া জোট সাধারভ মানুষের অধিকার ছিনিয়ে আনবেন, তখন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তিনিই ইন্ডিয়া জোটের প্রধান, তবে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নেই। এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপির মুখ। দিল্লির সরকার গঠন করবে ইডিয়া, সেখানে তাঁর দল, তৃণমূল বড় ভূমিকায় থাকবে। অন্যদিকে এই মমতাই আবার বলছেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাজনাথ সিং বা জে পি নাড্ডাকে দেখতে চান। তেজস্বী যেখানে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধে বিহারের ভোটে ৫ ব্যাগ টাকা নিয়ে আসার অভিযোগ করছেন, তখন মমতা নিজেকে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী বলে দাবি করে জে পি নাড্ডাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চেয়েছেন, মোদী নয়। ইন্ডিয়া জোটের একেক নেতার একেক মন্তব্যে ভোটাররা সত্যিই বিভ্রান্ত!