মহানগর ডেস্ক : “আদালতের যে জজেরা এসএসসি মামলা শুনছিল তাঁদের একজন বিজেপির প্রার্থী। এক বিচারপতি বললেন বিজেপি আমায় বলেছে, আমিও বিজেপিকে বলেছি, তাহলে তো কলকাতা হাই কোর্টই তুলে দেওয়া উচিত। কলকাতা হাই কোর্টের একদল বিচারক বিজেপির সঙ্গে আছে। ম্যাচ ফিক্সিং দেখেছেন, এটা সেরকম।হাই কোর্টের রায়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিজেপির দুর্নীতি”, বাঁকুড়া থেকে বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলার রায়দান নিয়ে এই ভাবেই কলকাতা হাই কোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বুধবার রাতে একটি সভায় বলেছেন, “আগামী ৩০ তারিখ আরও ৫৯ হাজার জন প্রারথমিক শিক্ষকের চাকরি যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে। এদের ভোট দেবেন?”
গত রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহের প্রতমদিন বোম ফাটবে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে পড়বে। ফের অমরনাথ শাখা বললেন ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যাবে। অমরনাথ শাখার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই আদালত সম্পর্কে এই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচাপরতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বললেন, এমন হলে তো ভারত থেকে কলকাতা হাই কোর্টই তুলে দেওয়া উচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বা যে কোনও ভারতীয় নাগরিক আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের উচিত এই বক্তব্যের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা উচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য সম্পর্কে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, এসব বলে ওরা চাইছে আদালত তুলে দিয়ে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতাই থাকুক। এটা এক ধরণের স্বৈরাচারী মনেভাবের বহিঃপ্রকাশ।
একজন সাংসদ এ ভাবে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন কি? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।