মহানগর ডেস্ক : দলে থেকে দলেরই পর্দা ফাঁস! একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। সহকর্মী নেতা-মন্ত্রীদের নিয়েও সরব। বিপদের মুখে কুণাল ঘোষ? বার বার নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে দাবি করে এসেছেন তিনি। ইদানিংকালে যেন এক অন্য কুণালকে দেখছে রাজনৈতিক মহল। আর তাতেই তার বিপদ বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ অধীর দাবি করেন, ‘কুণাল ঘোষ এখন সোজা কথা বলতে শুরু করেছে। দিদির গায়ে ঝাল লাগছে। ভাল লাগছে না। কুণাল ঘোষকে কদিন পর জেলে ভরে দেবে। খুনও করে দিতে পারে। মিথ্যা কেসে জেলও হতে পার।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, অপদার্থ ও দলবিরোধী কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।’ তাঁর এই কথা পরামর্শের চেয়ে শ্লেষই রয়েছে।’পদে নই পথে আছি’তাপস রায়কে ঘিরে মন্তব্যের জেরে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কুণাল ঘোষকে। তারপরই তাঁকে আক্রমণাত্ম হতে দেখা যায়। এর আগে তাঁকে মুখপত্রের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে দলের কর্মপদ্ধতিরও সমালোচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার কিছু অনুগামী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদেও ফেলেন। তিনি বলেন, ‘পদে নয় পথে আছি।’ দলবদলের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে কুণাল বলেন,’তৃণমূল কর্মী ছিলাম আছি থাকব।’ এসবের মধ্যেই অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে কুণাল ঘোষকে চিনতে পারছেন না অনেকেই। দলের সঙ্গে বহু পুরনো সম্পর্ক। তারপরেও এভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলার নেপথ্যে নতুন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।