মহানগর ডেস্ক : নিজের গড়েই বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। মুর্শিদাবাদে প্রচারে বেরিয়ে নতুন বর্ষেও অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আগের দিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যখন তিনি প্রচার করছিলেন তখন তাঁকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। সেময় মেজাজ হারিয়ে এক তৃণমূল কর্মীরে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। এরপর ফের সোমবারও উঠলো গো ব্যাক ধ্বনি।
নির্বাচনে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, আক্রমণ, স্লোগানিংয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রচারে গিয়ে এক দল অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। নিজেদের ভোট বাক্স ভরাতে হাতিয়ার করছে অপর দলের মাইনাস দিকগুলিকে। মুর্শিদাবাদ হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। বহিরাগত প্রার্থী বলে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তারপর থেকে কম জলঘোলা হয়নি। মুর্শিদাবাদে আবার বামেরা প্রার্থী করেছে মহম্মদ সেলিমকে। সব মিলিয়ে হাই ভোল্টেজ এই কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদকে অধীরের গড় বলা হয়ে থাকে। সেখানে অধীর চৌধুরীকে হারানো রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ। এখনও পর্যন্ত বহরমপুরে হারেননি তিনি।পর পর জিতে এসেছেন। তার গড়েই তাঁকে গো ব্যাগ স্লোগান শুনতে হচ্ছে সেটা একটা বড় ধাক্কা তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রথম দিন গো ব্যাক স্লোগান শোনার পর কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।