মহানগর ডেস্ক : অবশেষে বহু বিতর্কিত ইলেক্টোরাল বন্ড মিয়ে মুখ খুললেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানালেন, এই ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তাঁর মতে, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কোষাগারে অনুদান জমা করার যে পদ্ধতি ছিল তা সম্পূর্ণ ঠিক ছিল না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচন কমিশনের হাতে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য তুলে দিতেই তা জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্য থেকে পরিষ্কার, শীর্ষস্থানীয় ৩০টি সংস্থার মধ্যে ১৫টি সংস্থা যারা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ করেছে। তথ্য বলছে এই বন্ডের টাকা প্রাপ্তিতে প্রথম বিজেপি, দ্বিতীয় তৃণমূল, তৃতীয় কংগ্রেস।
অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমনের মতে, সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপ ও তাদের চাঁদা দেওয়ার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া আসলে নিছক ধারণামাত্র। তিনি বলেন, ”এটাও তো হতে পারে সংস্থাগুলি চাঁদা দিয়েছিল। পরে ইডি তাদের দরজায় কড়া নেড়েছে। এটা তো স্রেফ ধারণামাত্র যে ইডি তাদের দোরগোড়ায় গিয়েছিল বলেই তারা নিজেদের বাঁচাতে চাঁদা দিয়েছে। দ্বিতীয় কথা হল, আপনারা নিশ্চিত তারা বিজেপিকেই চাঁদা দিয়েছে। সম্ভবত তারা স্থানীয় দলগুলিকেই অনুদান দিয়েছে।”
এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”মামলাটি আদালতের বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তথ্য পেশ করেছে এসবিআই। এর আগে যে ব্যবস্থা ছিল, সেটা কি একশো শতাংশ ঠিক ছিল? সেটার থেকে এই সিস্টেম ভালো। সেই কারণেই ইলেক্টোরাল বন্ড আনা হয়েছে। এই পদ্ধতিও নিখুঁত নয়। তবে আমরা সেই সিস্টেম থেকে সরে আসতে পেরেছি, যেখানে যে যা খুশি করতে পারত।”
নির্মলার কথায় উঠে আসে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”উনি নির্বাচনী বন্ড এনেছিলেন। বলেছিলেন, এটা আগের সিস্টেমের থেকে ভালো।”
এদিকে ইলেক্টোরাল বন্ড প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “নরেন্দ্র মোদী বলেছেন তোমরা আমা চাঁদা দাও, আমরা তোমাদের ধান্ধা দেব। তৃণমূল আর বিজেপিনএক।”
এদিকে নির্বাচনী বন্ডের অর্থ প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় হয়েও তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এই অর্থ প্রাপ্তির নিরিখে বিজেপিকে দুর্নীতিবাজ বলে সমালোচনা করছেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “এই টাকা কি ভাবে কার হাতে এসেছে জানতে চায় মানুষ।” যদিও নির্বাচনী বন্ডের টাকা পাওয়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে কংগ্রেস।