মহানগর: এখনও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Michaung)-এর ল্যান্ডফল হয়নি কিন্তু তার আগেই শুরু হয়েছে তাণ্ডব। তুমুল বৃষ্টি আর ঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্র তামিলনাডু। জলে ভাসছে গাড়ি। মিগজাউমের ল্যান্ডফলের আগেই চেন্নাইয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক ট্রেনের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ‘মিগজাউম’ -এর প্রভাবে ১-১.৫ মিটারের জলোচ্ছ্বাস দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু এলাকাগুলিকে প্লাবিত করবে এবং বাপটলা এবং কৃষ্ণা জেলাগুলির উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঝড় বইবে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে যার সর্বোচ্চ একটানা বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিমি হতে পারে তা পৌছাতে পারে প্রতি ঘন্টায় ১১০ কিমিতেও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম দুপুর আড়াইটে নাগাদ নেল্লোর এবং মাচিলিপটনমের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে । অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনসিমা এবং কাকিনাদা পুদুচেরিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে ঝড়ের মোকাবিলা করে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করতে। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য 300 টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
খুব বেশি না হলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম -এর প্রভাব কিছুটা পড়েছে বাংলাতেও। দক্ষিণবঙ্গের আকাশের মুখ ভার সোমবার থেকেই। কলকাতাতেও আকাশ মেঘলা। বৃষ্টিও হচ্ছে কয়েকফোঁটা। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায় । আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।