মহানগর ডেস্ক: দু দিনের জন্য আজ বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগে সভাতে যোগদান করেই একাধিক প্রকল্পের কথা শুরুতেই ঘোষণা করার পরেই উঠে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। বাংলায় দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে কার্যত শাসক তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। টানলেন সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়কে। আরামবাগে সভা থেকে শুক্রবার চড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বলেছেন, সমাজ সংস্কারক রাজা রাম মোহন রায়ের “আত্মা কাঁদবে” যদি তাকে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সচেতন করা হয়।
হুগলি জেলার আরামবাগে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী বলেন, “দেশ দেখছে তৃণমূল সন্দেশখালির বোনদের সঙ্গে যা করেছে। গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা নিশ্চয়ই কেঁদেছে যা ঘটেছে সন্দেশখালিতে তা দেখে। এক তৃণমূল নেতা সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। রাজ্যের বিজেপি নেতারা মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদার জন্য লড়াই করেছিলেন। গতকাল, পুলিশকে তৃনমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হয়েছিল।” সন্দেশখালি নিয়ে কোনও রকম কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানো ও সচেতন না হওয়ার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন বিজেপি নেতাদের চাপে রাজ্য পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ও গ্রেফতার করেছে। প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালীতে বিরোধী দল ইন্ডিয়া ব্লকের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, তাদের তুলনা করেছেন মহাত্মা গান্ধীর তিনটি বানরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনায় INDIA জোটের সব লম্বা নেতারা নীরব ছিলেন। INDIA জোটের নেতারা ছিলেন গান্ধীজির তিনটি বানরের মতো।”