মহানগর ডেস্ক : বালুরঘটের জনসভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় যদি আপনি বিমানবন্দর চালু করে দেন, তবে অনেক মানুষের মনে হবে আমাদের প্রেসারে করে দিয়েছেন। আমি আপনার প্রেসার কুকার। আমাকে তো প্রেসার দিতেই হবে।’’
বালুরঘাটে বিমানবন্দর নিয়ে মোদীকে খোঁচা মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে বলে গিয়েছেন মমতাজি করতে দিচ্ছে না। আমি বলছি চোখ খুলে দেখুন। বালুরঘাট বিমানবন্দরের কাজ হয়েছে কি হয়নি? আমরা তো বেলুরঘাট নয়, বালুরঘাটে এসে বলছি। বিমানবন্দর পুরো তৈরি, কিন্তু আপনি বিমান দিচ্ছেন না। তাই চালু হচ্ছে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির কিছু গদ্দার বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছে? আমি একটা কথা বলতে চাই, এটা কি বাংলার নির্বাচন যে আমার কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হচ্ছে? এটা দিল্লির নির্বাচন। তাই কৈফিয়তও মোদীকেই দিতে হবে।’’
রবিবার প্রথমে বালুরঘাটের কুমারগঞ্জের চকরাম রায় গ্রাউন্ডে সভা করেছেন মমতা। তারপর বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে বালুরঘাট টাউন ক্নাব ময়দানে দ্বিতীয় সভা করেন মমতা। রবিবার বালুরঘাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে জোড়া সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রেই বিজেপির টিকিটে লড়ছেন বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
বালুরঘাটের সভা থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির অনেক টাকা আছে, তা-ই মিথ্যে কথা বলে রোজ কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। অথচ ১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। তিন বছর টাকা দিল না গরিব লোকগুলোর।’’
এদিন দূরদর্শনের লোগো বদল নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দূরদর্শনটা দেখেছেন তো? আর কেউ দেখবেন না। ওটাকে দূর করে দিন। একদিন এটা আমাদের গর্ব ছিল। কাল থেকে গেরুয়া করে দিয়েছে।’’
এদিন বালুরঘাটের উন্নয়নের খতিয়ান দিতে গিয়ে তৃণমৃল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী করেছে, তা বলতে শুরু করে তবে দিনরাত একাকার হয়ে যাবে। একটা রামায়ণ, একটা মহাভারত, একটা কোরান, একটা বাইবেলে কুলাবে না।’’
বালুরঘাটের সভা থেকে মমতা এদিন বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদেরা জীবন দিয়ে লড়াই করে। আর তোমরা তাঁদের পেটাও, তোমরা বাতিল করে দাও। মহুয়া মৈত্র একজন মহিলা সাংসদ, তাঁকে তোমরা বার করে দিয়েছ।’’
মমতা তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, কোনও ভাবেই বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি তৃণমূল ছাড়বে না।