মহানগর ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে র্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট লোকজন। তাঁরা বেশিভাগই শাসকদলের। এর মধ্যেই BJP র পাঁচজন নেতাকে গ্রেফতার করল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। মূলত আজ জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করেছেন কর্মসূচি বিজেপি যুব মোর্চার। তার ঠিক আগেই কী কারণে গ্রেফতার হলেন যুব মোর্চার জেলা সেক্রেটারি-সহ ৩ জন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে দুর্নীতি ও মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আজ জেলা, পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপি যুব মোর্চার। আর তার নেতৃত্ব দিলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গতকাল রবিবার যখন মাইকিং প্রচার চলছিল আর তখনই বিজেপির তরফে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ তাদের এই মাইকিং প্রচারের গাড়িকে আটকায়। তাঁদের পারমিশনের কপি দেখতে চায় পুলিশ। তখন পারমিশন কপি না দেখাতে পারায় তাঁদেরকে আটক করে গড়ি-সহ নিয়ে আসা হয়।
প্রচার গাড়িতে থাকা ৫ জনকে পুলিশ রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এবং আজ তাদের খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বিজেপির এই মাইকিং প্রচার নিয়ে কোনও বৈধ অনুমতি না থাকার দরুন প্রচার গড়ি-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার যুব মন্ডলের সেক্রেটারি সৃজন ঘোষ। কেশিয়াড়ি মন্ডল ফোর এর যুব মোর্চার সভাপতি কল্যাণ সুন্দর পাল। মন্ডলের সহ-সভাপতি দুলাল দাস। কেশিয়াডি মন্ডলের সেক্রেটারি প্রদীপ পাত্র -সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।