মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও মালদায় ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীনই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুক্রবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষা চলাকালীন ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। একই ভাবে ইংরেজি পরীক্ষার দিনও এই ঘটনার ব্যাতিক্রম হলো না। শুক্রবারের মতো শনিবারও এই প্রশ্নপত্র পাচারের ঘটনা ঘটলো সেই মালদা জেলাতেই।
তবে এই ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় “চক্রান্ত” বলে মন্তব্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণ পরেই মালদা জেলার এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে ওই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। পর্ষদ সূত্রে জানা যায় এই ঘটনায় ছ’জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন ছাত্র এবং দু’জন ছাত্রী। ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে কৌশল করে প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোড লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছিল অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা। তবে তাতে লাভ হয়নি। কিউআর কোডের উপর থাকা লাল কালি মুছে ওই ছয় পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। তাদের সব পরীক্ষা বাতিলও করা হয়েছে।
লাল কালি দিয়ে প্রশ্নপত্রের কিউ আর কোড ঢেকে দিয়েছিল ওই পরীক্ষার্থীরা, তবে পর্ষদ সেই কালি বিশেষ ভাবে মুছে কিউ আর কোড বার করে প্রশ্নপত্র কাদের, কারা পাচার করেছে তা ধরে ফেলে।
মাধ্যমিক শুরুর প্রথম দু’দিন পরপর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ। তবে এই ঘটনাকে উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যারা এই কাজ করছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই করছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমনটা বাংলা পরীক্ষার সময়েও করা হয়েছিল। বিষয়টা আমরা খতিয়েও দেখছি। তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব পরীক্ষার্থী মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধুমাত্র মালদহ জেলা থেকেই কেন এমনটা হচ্ছে তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। কিউআর কোড মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মানে স্পষ্ট যে, সচেতন ভাবেই এসব করা হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক নয়। মনে হয় বড় চক্রান্ত রয়েছে এর পিছনে।’’
তবে পর্ষদ সভাপতির চক্রান্তের অভিযোগকে খারিজ করে শিক্ষক মহলের একাংশ বলেছেন, “নিজেদের ত্রুটি ঢাকতে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় চক্রান্তের কথা বলছেন। চক্রান্ত করার জন্য কোনও ছাত্রছাত্রী তাঁর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় জীবন বাজি রেখে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলবে?”