মহানগর ডেস্কঃ মঙ্গলবার হঠাত করেই বেশ অনেকক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেড ও মেসেঞ্জার । যা নিয়ে গোটা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা চিন্তায় পড়েছিলেন। বিশ্বের একাধিক জায়গা সহ দেশ জুড়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অনেকগুলো পরিষেবা। ফেসবুক সহ মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা কাজ করা বন্ধ করেদিয়েছিল। নিজে থেকেই প্রোফাইল লগ আউট হয়ে যায়, তারপর শত চেষ্টা করে লগ ইন করেও পরিষেবা ঠিক মত কাজ করছিলনা। পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে ফেসবুকের কত টাকার ক্ষতি হয়েছে জানেন। সেই অঙ্ক চোখ কপালে তুলবে।
মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ, ফেসবুকে সবার একাউন্ট আচমকাই লগ আউট হয়ে যায় নিজে থেকে, যা দেখে আঁতকে ওঠেন প্রত্যেকই । পরিষেবা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। শুধু যে এই দেশেই তা নয়, এমনকি ইয়োরোপেরও একাধিক শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এর পরিষেবা বন্ধ হয়েগেছিল, কাজ করছিল না। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আচমকাই ডাউন হয়ে পড়ে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো, একেবারে রাত ১০:৩০ টার সময় ফের পরিষেবাগুলি চালু হয়। যেই সময় পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল, ওই সময়ে অধিকাংশ মানুষ ভয় পেয়ে যান, এই ভেবে যে তাদের আইডি হয়ত হ্যাক হয়েগেছে। সকলের জানে জান আসে যখন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফের সচল হয় ফেসবুক, থ্রেড, ইনস্টাগ্রাম, এবং মেসেঞ্জার। দেড় ঘন্টার মধ্যে পরিষেবা সচল হলে, সমস্যার সমাধান হলেও বিপুল পরিমান টাকার লোকসানের খপ্পরে পড়তে হয় মেটাকে। ড্যান ইভস নামে নিউইয়র্কের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ডেইলি মেইল জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মেটার প্লাটফর্ম অচল হয়ে পড়ার জন্য ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম অচল হয়ে পড়ে, যার কারণে মার্ক জুকালবার্গ ১০০ মিলিয়ন ডলার এর মতো রাজস্ব হারিয়েছেন। এমনকি এই পরিষেবা মুখথুবরে পরে যাওয়ার পর মেটার শেয়ারের দাম ১.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।
ফেসবুক পরিষেবা সহ অন্যান্য পরিষেবার অচল হয়ে পড়ায় বা গন্ডগোল শুরু হতেই, গ্রাহকরা স্তম্ভিত হয়ে যায়। আতঙ্কে তাঁরা একাধিক অভিযোগ তুলতে থাকেন । কেউ জানান, লগইন থাকা কালিন হঠাৎ নিজে থেকে লগ আউট হয়ে গিয়েছে, শত চেষ্টার পরেও কোনো একাউন্টই লগইন করা যাচ্ছে না কোনো ভাবেই। অনেকে বলেন, ইনস্টাগ্রামের পোস্ট রিফ্রেশ করলেও তা হচ্ছেনা। রাত নটার পর থেকে ৩ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে যায় মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে। তারপর এই সমস্যার কথা স্বীকার করে, ট্যুইট করেছেন মার্ক জুকারবার্গ।
আসলে কি হয়েছিল ফেসবুকের?
ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রাম পরিসেবাগুলি বিশ্বজুড়ে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে দেওয়ার কারণ হিসেবে মেটা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠান “কারিগরি সমস্যার কথা বলেছে।” সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ” নিয়মিত কোডিং নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষা করেই থাকে। সেখানেই কোনও সমস্যা হতে পারে। প্রতিবারই যখনব ফেসবুক ডাউন হয়ে যায় তখনই ওরা বলে কোডিং নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে। অন্য কিছু হলে ওরা তাড়াতাড়ি আপ করে দিত কারণ ওদের ব্যাকআপ সার্ভার থাকে, মিরর সার্ভার থাকে। মনে হচ্ছে ওদের নিজস্ব কোনও সমস্যা হচ্ছে। ডিএনএসে কোনও সমস্যা হতে পারে। সেটা ছিতক করতে সময় নিচ্ছে। ” এই সম্পর্কে স্টোন বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আমাদের কিছু পরিষেবা গ্রহণ করতে মানুষের অসুবিধা হয়েছিল। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটির সমাধান করেছি। এই অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’