মহানগর ডেস্ক: নতুন বছরের সকালেই উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মেট্রো স্টেশন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন গুরুগ্রামের এক ব্যক্তি। লোকটিকে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে সন্দেহ করা হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার পর আত্মগোপনে ছিল। এরপর থেকেই তাঁর খোঁজ চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গৌরব শর্মা নামে ওই ব্যক্তি গুরুগ্রামে একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৌশাম্বী মেট্রো স্টেশনে পৌঁছন। পুলিশের কথায়, রবিবার ২০২৩ সালের শেষ রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রাওয়াতকে নিজের বাড়িতেই হত্যা করার পর গা ঢাকা দেন। পুলিশকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, দুজনেই প্রায় ছয় মাস আগে বর্তমান বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন।ঘটনাটি প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১-এর একটি নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, যেখান থেকে ট্রেনটি গাজিয়াবাদের ব্লু লাইনের শেষ স্টেশন বৈশালীর দিকে পূর্বদিকে যায়৷ লোকটিকে প্ল্যাটফর্মের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি রেলিং পেরিয়ে আত্মহত্যা করে জানিয়েছে পুলিশ।কৌশাম্বি মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটি একটি আবাসিক এলাকার খুব কাছে এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লোকটির। মেট্রো স্টেশনের পাশের সার্ভিস লেনের পার্কিং এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়, রাস্তায় রক্তের দাগ ছিল।
২৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। গুরুগ্রাম পুলিশ তাদের এক বছরের শিশুকে তাদের মায়ের লাশের পাশে কাঁদতে দেখেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছিল কিন্তু গুরুগ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বীতে লোকটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং তদন্ত চলছে।