Haryana
মহানগর ডেস্ক : কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই সপ্তাহ বিক্ষোভ স্থগিত করার পর রবিবার হরিয়ানার সাতটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদে পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি সিরসা এবং ১৩, ১৫, ১৭, ১৯, ২০, ২১, ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে সাতটি জেলায় মোবাইল পরিষেবা স্থগিতাদেশ বাড়ানোর জন্য কোনও নতুন আদেশ জারি করা হয়নি।স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা একটি পূর্ববর্তী আদেশ অনুসারে, “হরিয়ানার ডাবওয়ালি জেলা সহ আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসার এক্তিয়ারে শান্তি ও জনশৃঙ্খলার কোনও ব্যাঘাত রোধ করার জন্য” নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।আম্বালার এক বাসিন্দা কমল জানিয়েছেন, “কয়েক দিনের ব্যবধানের পরে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার একটি বড় স্বস্তি।”
এক মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানতে গেলে গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।সূত্র থেকে জানা গিয়েছে তিনি যখন থানায় অভিযোগ জানতে যায় তখন সাব ইন্সপেক্টর এবং তার সঙ্গীরা সেই মহিলাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার হাসানপুর নামক একটি থানায় যেখানে মহিলাটি স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানতে গিয়েছিলেন।মহিলাটি পলবলের এক বাসিন্দা।সূত্র থেকে জানা গিয়েছে মহিলাটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।মহিলাটির অভিযোগ তিনি যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যায় তখন থানার এসআই শিবচরণ তার অভিযোগ না নিয়ে এসআই এর এক সঙ্গী বল্লীর সাথে মহিলাকে থানার পাশে একটি ক্ষেতে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় ।সূত্রের খবর যে সেখানে আগে থেকে ভীম এবং নিরঞ্জন নামে দুইজন ছিলেন।এই তিনজন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করেন বলে মহিলাটি অভিযোগ করেন।শুধু তাই নয় মহিলাটিকে তার সমস্ত গোপনীয় ছবি সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দেবে বলে শাসাতে থাকে।
মহিলাটি অভিযোগ করেন যে এই তিন জন ধর্ষণকারী শান্তি নামে এক মহিলার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তিনদিন আটকে রাখে তাকে।সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এরপর তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় এই তিন জন অত্যাচারী।এরপর বিজেন্দ্র নামে এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে মহিলা অভিযোগ করেন।
শুধু এখানেই শেষ নয় এরপরও ওই মহিলা গণধর্ষনের শিকার হয়। এসআই শিবচরণের উপস্থিতিতে গজেন্দ্র ও তার এক আত্মীয় মিলে মহিলাটিকে আবার গণধর্ষণ করে বলে মহিলাটি দাবি করেছেন।সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথে মহিলাটিকে উদ্ধার করে এসআই শিবচরণ সহ আরো সাত জনকে আটক করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।পুলিশ আরো জানিয়েছে অভিযুক্তদের শীঘ্রই গেফতার করা হবে।