মহানগর ডেস্ক : অবশেষে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বেতাজ-বাদশা শাহজাহানকে নাগালে পেয়েছে প্রশাসন। সিআইডির সদর দফতরে দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্দেশখালিতে যেভাবে জনরোষ আছড়ে পড়েছে, একর পর এ গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাতে কেন শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে পারছে না, শাmকই তাকে লুকিয়ে রেখেছে বলে সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা। এবার শাহজাহান সিআইডির জেরার মুখে পড়তেই সরানো হল বসিরহাট থানার আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে সিআইডির ইনস্পেক্টর হিসেবে। আর বসিরহাট থানার নতুন আইসি হয়ে এসেছেন রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল সন্দেশখালির প্রেক্ষাপটে প্রশাসনিক রদবদলের ঘটনাটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করলেও পুলিশসূত্রে খবর, এটি রুটিন বদলি ছাড়া এই রদবদল আর কিছুই নয়।
এদিকে বসিরহাট থানার আইসি হিসেবে এখানে ছিলেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যেদিন শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে পেশের সময়েও উপস্থিত ছিলেন এই আইসি। এবার তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে সিআইডির ইনস্পেক্টর হিসেবে। আর বসিরহাট থানার নতুন আইসি হয়ে এসেছেন রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কি কাজলবাবু পুরষ্কৃত হলেন? প্রশ্ন উঠছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, রুটিন বদলি ছাড়া এই রদবদল আর কিছুই নয়। কিন্তু এটা সহজভাবে দেখছেন না অনেকেই। যদিও সিআইডি জেরার মুখে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছেন শাহজাহান বলে সূত্রের খবর।
তবে শুধু বসিরহাট থানার আইসি নয়, বদল হয়েছে মালদা থানার আইসিও। দীপক কুমার দাসকে মালদা থানা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে দার্জিলিংয়ে। একইসঙ্গে পুরুলিয়ার মানবাজারের সিআই সিদ্ধার্থ ঘোষকে বসিরহাট পুলিশ জেলায় বদলি করেছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার প্রশান্ত দত্তকে পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া জেলার মানবাজারে। আর সিআইডির ইনস্পেক্টর বিশ্বজিৎ মণ্ডলকেও বদলি করা হয়েছে।