মহানগর ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। ইদানিং এই ঘটনার প্রবণতা বেড়েছে। কেন এই মৃত্যু সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত ঠিক তখনই ফের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বার বার পড়ূয়ারা কেন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা নিয়ে মনোবিদরা চিন্তিত । দিল্লিতে আইআইটিতে (IIT )আবারও পড়ুয়া মৃত্যু নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হস্টেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্ম্যহত্যা করে এই ছাত্র, দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হল ছাত্রের দেহ। দিল্লি পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই পড়ুয়া। কিন্তু অই পড়ুয়া কেন এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন, তা নিয়ে ক্রমশ ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম সঞ্জয় নেরকার, বয়স ২৪, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। বছর ২৪-এর এই সঞ্জয় এমটেক-এর ছাত্র ছিলেন। পুলিশ জানায়, হস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি আইআইটি সূত্রে খবর, সঞ্জয় দ্রোণাচার্য হস্টেলের ৭৫৭ নম্বর ঘরে থাকতেন। খুবই মিশুকে ছিলেন তিনি। বন্ধুরা এখনও বুঝতে পারছেন না কেন সঞ্জয় এইভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । এক পুলিশ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয়ের বাবা-মা ছেলেকে ফোন করেন, কিন্তু বার বার ফোন করেও যখন ছেলেকে ফোনে পেলেন না, বাধ্য হয়ে হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা । নিরাপত্তারক্ষীরা তখন যান সঞ্জয়ের বন্ধুদের কাছে, বলেন সেই ছাত্রের খোঁজ নিতে।সেইমত তাঁরা যান, কিন্তু তাঁরা গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ, ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় তথক্ষনাত নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।
ঘরের মধ্যে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে সেই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে।এই ঘটনা আইআইটি কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারকে জানান। ২৪ বছরের এই ছাত্র সঞ্জয় আত্মহত্যা কেন করলেন, তার কারণ খুঁজছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদপর্ব । মানসিক চাপ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, নাকি এই আত্মহত্যার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ । ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয় বার বার প্রতিবছর পড়ুয়া মৃতুর ঘটনা সামনে আসে, মনবিদ্দের একাংশের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক চাপই আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাড়ায়, এই মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আবার অনেক সময় রাগিংয়ের এর জন্য এই রাস্তা অনেক পড়ুয়া বেছে নেন । সেই জন্য মনোবিদদের একাংশ পড়ুয়াদের যারা আক্টু বেশি হতাশায় ভোগেন বা মানসিক চাপ বেশি বোধ করেন তাঁদের নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করানোর উপর জোর দিচ্ছেন ।