মহানগর ডেস্ক : তিন বছর আগেই পথ চলা শুরু হয়েছিল কল্যাণী এইমসের। এদিকে রবিবর গুজরাতের রাজকোট থেকে ভার্চুয়ালি যে ২৫ টি এইমসের উদ্বোধনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই তালিকাতেও নাম রয়েছে কল্যাণী এইমসের। কীভাবে সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। এদিকে নেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনো ছাড়পত্র। তাহলে এই বেআইনি উদ্বোধনের অর্থ কী? ঘটনায় সমালোচনার ঝড় সব মহলেই।
প্রসঙ্গত, দূষণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, ফলে এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না, জানিয়েছেন কল্যাণী এইমসের-এর অধিকর্তা।সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্র সাফ জানিয়েছেন,কল্যাণী এইমসের নতুন ভবন পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র পায়নি। নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ছাড়পত্র চেয়ে নিতে হয়। কিন্তু কল্যাণী এইমস তার ভবন নির্মাণের জন্য এই ছাড়পত্রের আবেদন করেছিল নির্মাণ শুরু হওয়ার পর, যা ‘ভায়োলেশন ক্যাটাগরি’-র আওতার মধ্যে পড়ে। এদিকে রাজ্যের স্পষ্ট বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যতদিন বহাল থাকবে ততদিন পর্যন্ত ভায়োলেশন ক্যাটিগরিতে কল্যাণী এইমসকে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহবে কীভাবে উদ্বোধন?
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর কল্যাণীর এইমস, ভায়োলেশন ক্যাটিগরিতে পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানায়। ২০ হাজার বর্গমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে কোনও নির্মাণকাজ হলে সেই প্রকল্পের পরিবেশ ছাড়পত্র আবশ্যক। ২০২২ এর ১৯ অক্টোবর ভায়োলেশন ক্যাটিগরিতে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে স্টেট এক্সপার্ট অ্যাপ্রাইজাল কমিটি। পরিবেশগত ক্ষতির মূল্য সমীক্ষা করে ১৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দিতে বলা হয় এইমসকে। পরবর্তী কালে এইমস জরিমানা মকুবের জন্য আবেদন জানায়।এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে যে, জরিমানা নিয়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। কল্যাণী এইমস তাই ১৫ কোটি টাকার বেশি জরিমানার সম্মুখিন হয়েও ছাড়পত্র পায়নি। যদিও কল্যাণী এইমসের অধিকর্তা এমন অভিযোগ মানতে রাজি নন। তাঁর দাবি, সব নিয়ম মেনে হাসপাতালের দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের কাজ হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি।