মহানগর ডেস্ক: ভারতের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি আরব সাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ উদ্যোগ প্রকাশ করেছেন। “প্রজেক্ট বাউন্সার” হিসাবে আখ্যায়িত এই কৌশলগত পদক্ষেপটি লক্ষদ্বীপকে একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্যে রূপান্তরিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। তিনি বলেন, “লাক্ষাদ্বীপ সহ দেশের দ্বীপগুলিতে অন্তর্দেশীয় পর্যটন, বন্দর সংযোগ, পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে।”
পরিকল্পনায় অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ বাড়াতে এবং টেকসই পর্যটন অনুশীলন চালু করার জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক বরাদ্দ জড়িত। তিনি বলেন“দেশের ৬০টি জায়গায় জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক হয়েছে। বিশ্বমঞ্চের কাছে ভারতের বৈচিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে এর মাধ্যমে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক শক্তি ব্য়নসা ও কনফারেন্স ট্যুরিজমের জন্য ভারতকে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল করে তুলেছে। এখন মধ্যবিত্তরাও ঘুরতে যাচ্ছেন। শুরু হয়েছে ধর্মীয় পর্যটনও। এটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বড় সুযোগ হয়ে উঠছে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন, ব্রান্ডিং ও প্রচারের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই উন্নয়ন যজ্ঞের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুদ হীন ঋণ দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে।”
উল্লেখ্য, প্রকল্প বাউন্সার স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চায়, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়নকে উত্সাহিত করে। ২০২৩ সালের শেষে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনের প্রচার করতেই সুর চড়ায় পড়শি দেশ মলদ্বীপ। শুরু হয় লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ টানাপোড়েন। ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পরই বিতর্ক বাড়ে। বয়কট মলদ্বীপের ডাক দেন ভারতীয়রা। মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে, সকলে লাক্ষাদ্বীপকেই পছন্দের জায়গা হিসাবে বেছে নেন। এবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্যেও উঠে এল লাক্ষাদ্বীপের প্রসঙ্গ। এই উচ্চাভিলাষী উদ্যোগটি লাক্ষাদ্বীপের আদিম দ্বীপগুলির অপ্রয়োজনীয় সম্ভাবনার সরকারের স্বীকৃতিকে প্রতিফলিত করে৷ ফলস্বরূপ, ভারতের লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করা, শেষ পর্যন্ত তার পরিবেশগত অখণ্ডতা রক্ষা করে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা।