মহানগর ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- এর বরাবরের অভ্যাস সরকারি কাজকর্ম নিয়মিত খতিয়ে দেখা, বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া। তিনি নিয়মিত খোঁজখবর নেন কাজের প্রগতি নিয়েও।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দপ্তরের কাজের খতিয়ান নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সেখানে রীতিমতো খেপে ওঠেন তিনি বেশ কয়েকটি দপ্তরের কাজ নিয়ে। মন্ত্রী, সচিবরা তাঁর কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়েন। বিশেষত অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবহণ মন্ত্রীর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে।সূত্রের খবর, কাজ নিয়ে তাঁকে চরম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন আগাগোড়া ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মেজাজে দেখা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সমস্ত দপ্তরের মন্ত্রী, সচিব, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসেছিলেন।তিনি বেশ কয়েকটি দপ্তরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।ভূমি রাজস্ব, কারিগরি শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি, স্বাস্থ্য-সহ একাধিক দপ্তর ভর্ৎসনার মুখে পড়ে। যে কোনও কাজের অর্ডার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে তা কীভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে? সাংবাদিকরা কাগজপত্র কীভাবে হাতে পেয়ে যাচ্ছেন?মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে এই প্রশ্ন তোলেন ।
সচিবদের এ প্রসঙ্গে আরও কড়া হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।এই বিষয়ে তিনি জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিংবা দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আগে তা সংবাদমাধ্যমের কাছে যাতে না পৌঁছয়, সেই দায়িত্ব নিতে হবে সচিবদেরই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “সব জায়গায় সিপিএম বসে আছে, তারা সব বের করে দিচ্ছে। উপরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে আরও কড়া হতে হবে।’’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাজে।সূত্রের খবর, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহণ মন্ত্রীর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে।মুখ্যমন্ত্রীকে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে যে,’মন্ত্রীর কাজেই স্পষ্ট যে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাই নেই।’ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “কাজের উপর যোগ্যতা বিচার হবে। যাঁরা ভালো কাজ করবেন, তাঁদের তিন-চারবার রাখব। যাঁরা করবেন না, তাঁদের অন্য জায়গায় নিয়ে আসব। অনেক জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের কাজে গড়িমসি দেখতে পাচ্ছি। তাঁদের কাজ নিয়ে আপনারা দেখুন।”