মহানগর ডেস্ক : দেশে লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব আইন। আর তারপর থেকেই বিরোধীতা চরমে পৌঁছিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নাকি নেওয়ার আইন তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। এবার সিএএ বিরোধী মিছিল পা মেলানো উত্তেজিত জনতার গণধোলাইতে প্রাণ গেল ২ ব্যক্তির।মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার সোহরা সিভিল সাব ডিভিশনের অধীনে ইছামতি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। মেঘলায়ের রাজধানী শিলং থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইছামতি। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত এই এলাকা। সেখানে আদিবাসী এবং বাঙালি বা অন্য ভাষাভাষী লোকেরা একই সঙ্গে বসবাস করে। আর সেই ঘটনার আঁচ এসে পড়লো কলকাতাতেও।বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলা পক্ষর দাবি,মেঘালয়ে মৃত দুই ব্যক্তির একজন বাঙালি। এই আবহে আজ কলকাতায় মেঘালয় ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, সিএএ লাগু হওয়ার পর আতঙ্কে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বাংলার অনেকেই।মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তত ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ওড়িশায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাও সিএএ বিধি কার্যকর করার জেরেই ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সুভাষগ্রামেও কাগজ না থাকায় চাপের মুখে পড়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন এক যুবক। সেই ঘটনা নিয়েও কম তোলপাড় হয়নি রাজ্য। ভোটের মুখে ক্রমে এ নিয়ে চড়ছে পারদ।
জানা যাচ্ছে,ইছামতির বেশ কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন একটি সিএএ বিরোধী মিছিলেন আয়োজন করেছিল বুধবার। সেই সমাবেশের পরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, যে মৃত দুই ব্যক্তি সেই সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে শুধুমাত্র হেঁটে যাচ্ছিলেন। এদিকে মৃতদের নাম এসান সিং এবং সুজিত দত্ত বলে বলে জানা গিয়েছে। এসান ইছামতিরই বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে সুজিত ছিলেন দালদার বাসিন্দা।