মহানগর ডেস্কঃ এ যেন এক হতবাক করার মতো দৃশ্য। যা দেখেই চোখ কপালে ওঠার মতো জো। টাকার গদজতে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন এক নেতা। সেই ছবি ভাইরাল । তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ছড়িয়ে যাওয়ার পর অসমের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় নেতার কাজকর্ম দেখে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখের পাশে, বুকের উপরে গোছা গোছা পাঁচশো টাকার নোট রেখে সেই টাকার গদির বিছানায় শুয়ে ঘুমাচ্ছেন নেতা। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি যখন ছড়িয়ে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ছবি রীতিমত ঝড় তুলেছে।
এই ছবি অসমের বড়ো নেতা বেঞ্জামিন বসুমাতারির। বেঞ্জামিন ওদালগুড়ি উন্নয়ন অঞ্চলের ভিলেজ কাউন্সিল ডেভেলপমেন্ট কমিটির, চেয়ারম্যান পদে ছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। ঘুষ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকাও হাতিয়েছিলেন তিনি বলে অভিযোগ। তারপর সেই টাকার ওপর শুয়ে ছিলেন তিনি। সেই ছবি ভাইরাল হয় গোটা অসম জুড়ে। তারপর সোশ্যালমিডিয়ায় ঝড় তোলে ওই ছবি। জানা গিয়েছে, তাঁর অপকর্মের জন্য দল তাঁকে বহিষ্কার করে দেয়। স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য প্রমোদ দাবি করেন যে, বেঞ্জামিন মোটেই তাঁদের দলের সদস্য বা ভিসিডিসির চেয়ারম্যান নন। জানুয়ারিতেই বেঞ্জামিনকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে ফেব্রুয়ারিতে ভিসিডিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তাই বেঞ্জামিনের কোনো কৃতকর্মের দায়ের ভার দল নিতে নারাজ।
বেঞ্জামিন এই সম্পর্কে বলছেন, ‘যেই ছবিটি ঘিরে এত সমালোচনা হচ্ছে এই ছবি আসলে ৫ বছর আগের। ব্যবসা করার জন্য মা ও অন্যদের থেকে মোট ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করেছিলাম। রাতে পার্টি করার পরে মজা করেই সেই টাকার বিছানায় শুয়েছিলাম। আমার সঙ্গী সেই ছবি মজা করে তুলে রেখেছিল। ওই ছবি অতীতেও ছড়িয়েছিল।’ তিনি এও বলেন তাঁকে নাকি সেই ছবির জন্য ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছিল। বেঞ্জামিন স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন যে, ভোটের আগে বড়োভূমির বিরোধী দল, পরিকল্পনা করে পুরনো ছবি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা, যাতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারেন।
এই ছবি ভাইরাল হতেই, ইউপিপিএলের দাবি, ‘২০২৪-এর ১০ জানুয়ারি তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাই মিস্টার বসুমাতারিকে ইউপিপিএলের সঙ্গে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন। তাঁর কাজকর্ম সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিজের দায়িত্ব। দল তাঁর ব্যক্তিগত কোনও কাজের জন্য দায়ী নয়।’