মহানগর ডেস্ক: রয়েছেন জেলে কিন্তু এখনও দুর্নীতি ইস্যুতে আসছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এবার অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা এবং তার কিছু আত্মীয়দের বিরুদ্ধে উঠেছে বোলপুরের বাইপাস সংলগ্ন এলাকাতে প্রায় ৪০ বিঘার মতো সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ। আসল জমির মালিকরা প্রমাণ নিয়ে প্রসাসনের কাছে গেলেও কোনও ফল মিলছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার বিষয়ে রাজা ঘোষ দাবি করছেন যে, ওনার এই জমির সঙ্গে কোনও লেনদেনা নেই, এই বিসয়ে তিনি কিছু জানেন না । যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরটাই ভিত্তিহীন, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন তার নামে যেই অভিযোগ উঠেছে তা যদি প্রমাণ না হয় তাহলে তিনিও আইনি ব্যবস্থা নেবেন। বোলপুরের এই জমি মাফিয়াদের দাপট যে এই প্রথম তা কিন্তু নয়। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে বহুবারই এই রাজা ঘোষ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। শান্তিনিকেতনের কোপাই নদীতে সরকারি খাস, পাট্টা জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে সরব হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা, কিছুদিন আগেই একটি কংক্রিটের নির্মাণ বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। এবার বাইপাস মৌজায় বিঘার পর বিঘা জমি ভুয়ো আরএস বের করে মিউটেশন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, নেতা মন্ত্রী সহ শাসকদলের একাংশের মদতেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে জাল মিউটেশন, এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে চাষ আবাদ হয় এমন জমি এবং ডাঙা জমির মালিকরা পথে বসছেন এমনই অভিযোগ উঠে আসছে । রাতের অন্ধকারে নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ভূমি সংস্কার দফতরের সহায়তায় জমি হারাচ্ছেন আসল মালিকরা। এই ঘটনায় মিলছে খোদ শাসক দলের হেভিওয়েটদের যুক্ত থাকার তত্ত্ব। বোলপুরের বাইপাস রোডের ধারেই পরিকল্পনা মাফিক বিঘা বিঘা জমির জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে। জমি হস্তান্তর ও শ্রেণী পরিবর্তন হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন আসল জমির মালিকরা।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, ‘শাসকদলের প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ও রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন, কাগজ ভুল না জাল দেখার পর্যন্ত সাহস বা সুযোগ থাকে না। এখানে তো অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠরাই এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত’।
এদিকে অমিত দাস বলেন, ‘বংশ পরম্পরা গত ভাবে বাপ দাদুর সম্পতি। ১৯৬২ সালে এই জমি কেনা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। থাকা অবস্থায় পড়ে থাকে প্রায় ৪০ বিঘা জমি। হটাৎ দেখছি প্লট করে করে দু একটি বাড়ি হচ্ছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে খোঁজখবর নিতেই দেখছি সেই জমি রাঘব বোয়ালদের নামে স্থানান্তরিত হয়েছে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি রাজা ঘোষ তথা অনুব্রত ভাগ্নে সহ শশুর, বাবলা রায় সহ অন্যান্য পরিবার পরিজনেরা জমি হস্তান্তর করেছে । আবার তিন ইয়ার বলেন, ‘২০০২ সালে দলিল তৈরী করে একের পর এক প্লট স্থানান্তর করেই চলেছে, আমরা্ অসহায়, আমরা এখন কোথায় যাব কিছু বুঝতে পারছি না, প্রশাসনের দরবারে ঘুরলেও মাথা ঠুকলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে রাজা ঘোষ দাবি করেছেন, ওনার এই জমির সঙ্গে কোনও লেনদেন নেই, যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরটাই মিথ্যা বলা হচ্ছে । এগুলো সব ভিক্তি হিন, আইবিসয়ে আমার কিছু জানা নেই, এর পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন যদি তার নামে করা অভিযোগ এর প্রমাণ যদি না হয় তাহলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
তবে বোলপুরে জমি মাফিয়াদের দাপট কিন্তু এই প্রথমবার নয়। বার বারই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এই রাজা ঘোষ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে দিনের পর দিন । আর এবার কিনা খোঁজ মিল্ল একেবারে ৪০ বিঘা সম্পত্তির । এই ৪০বিঘা জমি কার্যত দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডল এর আত্মীয় দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই বোলপুর জুড়ে ধুমধুমার কাণ্ড ।