মহানগর ডেস্কঃ কে ভেবেছিল কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সূত্রপাত বছরের শুরুতেই ৫ জানুয়ারি। সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহানের নাম দূর্নীতির সঙ্গে যোগ পেয়ে ওই দিন রাতে শাহজাহানের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। শাহাজাহান এর সেখানে দেখা মেলার পরিবর্তে, শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে, তাঁদের মার খেয়ে ফিরত আসতে হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন সংবাদকর্মীরাও । ব্যস তারপর থেকেই, প্রতিদিন এই সন্দেশখালি নাম খবরের পাতায় বা শিরোনামে থাকছে। তারপর ধীরে ধীরে বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে সামনে উঠে আসা বিভিন্ন তথ্য। উঠে আসতে থাকে সেখানকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে, নারী নির্যাতনের কথা যা চলছে গত ১০ বছর ধরে। সেই অভিযোগ নিয়েই এবার রাষ্ট্রপতির দারস্থ হচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
অভিযোগ রয়েছে গ্রামের মানুষের জমি জোর করে তাদের থেকে দখল করার মত অভিযোগ। এবং সেখানকার মানুষ দের বিনা টাকায় খাটানো, এবং তাদের মারধর করার মত এরম একাধিক অভিযোগ ওঠে আসছে সেখানকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে বাংলা পেরিয়ে দিল্লির পথে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা, এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুবিচারের আশায়। সূত্র অনুযায়ী খবর, সন্দেশখালির ১১ জন পুরুষ ও মহিলা রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। রাষ্ট্রপতির কাছে সব কথা বলেন, তুলে ধরলেন সেখানে চলা নির্যাতনের কথা। যখন এই নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসে, বা জমি দখল, মারধরের মতো যেই অভিযোগ গুলি উঠছিল, সেই অভিযোগের আঙ্গুল যায় শেখ শাহাজাহান, তাঁর দলবল ও সেখানকার কিছু তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। সেখানকার নারীরা দাবি করেছেন, ‘রাতভর মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হত’। সেই সব অত্যাচারের কথা, সন্দেশখালির নির্যাতিতারা, ক্যামেরার সামনেও বলেন । ঘটনা সামাল দিতে বেশ কিছু দিন পর প্রথমে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার কে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেও যখন ঝামেলা সামাল দেওয়া গেলনা, পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন তড়িঘড়ি শাহজাহান কে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে,রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী শাসকদল, সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে, তৃণমূলের উপর এক প্রকার চাপ সৃষ্টি করছে, সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের আগে, ঘাসফুল শিবিরকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিভিন্ন বিরোধী দল।এরম পরিস্থিতির মধ্যেই, সন্দেশখালির মহিলারা এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতেই, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। তবে, সন্দেশখালির মহিলাদের, ভোটের মুখেই দিল্লি যাত্রা, রাজনৈতিক গত ভাবে যদি দেখা যায় তাহলে কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।