মহানগর ডেস্ক: এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি সন্দেশখালি ও বনগাঁয় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায়। এবার রাজ্যে তারই মাঝে এলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন।তিনি রাজ্যে এসেছেন মঙ্গলবারই। আজ দফতরের অফিসারদের সঙ্গে রাহুল নবীনের জরুরি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল সন্দেশখালি ও বনগাঁকাণ্ডের মাঝেই রাহুল নবীনের এই রাজ্যে আসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা সন্দেশখালিতে গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কারও সাড়া পাওয়া যানি। এরপরেই তালা ভাঙাকে উদ্যত হন তাঁরা। অন্যদিকে সেই খবর পেয়েই শেখ শাহজাহানের বাড়ির কাছে ভিড় করেন তাঁর অনুগামীরা। শুরু হয় ইডি কর্তাদের সঙ্গে বচসা। অভিযোগ ওঠে, উপস্থিত জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে তারপরেই।
৩ ইডি আধিকারিক শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণে আহত হন। তার মধ্যে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর রাজকুমার রাম গুরুতর আহত হন। তাঁর মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। আতক্রমণ চালানো হয় ইডির গড়িতেও। এমনকী আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাদ যাননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কোনওরকমে সেখান থেকে বেরোতে পারেন ইডির আধিকারিকরা।ইডির আহত অফিসাররা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে, বনগাঁতেও ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে, রেশন দুর্নীতি মামলায় এলাকার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের পর বেরোনর সময়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। গালাগালি দেওয়া হয় হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা সন্দেশখালির ঘটনার কথা মাথায় রেখে লাঠি চালান।