মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রাথী দিলীপ ঘোষ। সন্দেশখালির মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এতো অস্ত্র আসা জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক বলে দাবি করেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
দিলীপ ঘোষ সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় সিবিআই ও এনএসজির যৌথ অপারেশনে বিপুল অস্ত্র, বোমা, কার্তুজ উদ্ধার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,” শাহজাহান যখন সিপিএমে ছিল তখন পিস্তল নিয়ে ঘুরত, এখন একে ৪৭ নিয়ে ঘুরছে। সন্দেশখালির মতো একটা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই দেশ বিরোধী গতিবিধি, এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে চিন্তার বিষয়। আমি দাবি করছি এখনই কেন্দ্র এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। শাহজাহান বাহিনী ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত যারা ইডির উপর হামলায় যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
দিলীপ ঘোষ এদিন শেখ শাহজাহানকে রোহিঙ্গাদে আশ্রয়দাতা বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “আমরা বার বার বলছি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে সন্দেশখালিতে ডেরা বানিয়েছে শেখ শাহজাহান। ওরাই পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। তারপর ট্রাকে করে এই রোহিঙ্গাদের সারা দেশের এদিক ওদিক পাঠায়।”
দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীও সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মূল দায়ী বলে অভিযোগ করেন। শুভেন্দু বলেন, “এই অস্ত্র লুকিয়ে রাখার মূলে পুলিশ। এই পুলিশই শেখ শাহজাহানকে লুকিয়ে রেখেছিল, ৫৪ দিন ধরে খুঁজে দিতে পারেনি। এরাই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অস্ত্র মজুত করেছে। তৃণমূলকে সিমি, পিএফআই-র মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
সিবিআই আধিকারিকরা অনুমান করছেন, এই অস্ত্র মার্কিন মুলুক থেকে এসেছে। খোলা বাজারে এই অস্ত্র বিক্রি হয় না। নিলামে এই অস্ত্র বিক্রি হয়। অস্ত্রের দাম ৭/৮ লক্ষ টাকা প্রতিটি রিভলভর, এমন তিনটি মার্কিনি রিভলভর উদ্ধার করা হয়েছে। যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার সর্বমোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। তাহলে কি শেখ শাহজাহান আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত? শেখ শাহজাহানের অস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেয়েছে সিবিআই। তবে এই লাইসেন্স থাকলেই বিদেশী অস্ত্র কেনা যায় না। সিবিআইর অনুমান, এই অস্ত্র আড়াল করতেই কি ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? এতো বিপুল অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় পেল শাহজাহান? সিবিআইর ধারণা সন্দেশখালিতে এমন আরও অস্ত্র ভান্ডার থাকতে পারে।
দিকে পার্থ ভৌমিক বলেন, “শেখ শাহজাহানের সঙ্গে দলের এখন কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার না করলে কি এসব উদ্ধার হতো? শাহজাহান এখন দলে নেই, তাই এসবের উত্তর আমরা কেন দেবো?”