মহানগর ডেস্কঃ: সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে আবারও পড়লেন রামদেব। পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন এর মামলায়, পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্থাৎ রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ এবং রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা মঞ্জুর করলো না সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার, আজ পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন এর মামলার শুনানী চলছিল। এই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমান্নুলার এবং বিচারপতি হিমা কোহলি ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, ক্ষমাপত্র কাগজে কলমে রয়েছে, আমরা এই ক্ষমাপত্র মেনে নিচ্ছি না। আমরা মনে করি এই কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবেই অঙ্গীকার লঙ্ঘন করেছে। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘আমরা অন্ধ নই’’। এই বিষয়টি নিয়ে আদালত উদার হতে চায় না’। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি সম্পর্কে কেন্দ্র যে উত্তর দিয়েছে শীর্ষ আদালত সেই উত্তরে সন্তুষ্ট নয়।
মামলার হলফনামা পড়ার সময় বিচারপতি আমান্নুলা রামদেবের আইনজীবী মুকুল রোহতগীকে বলেন, ‘‘আপনারা হলফনামাতেও ফাঁকি দিচ্ছেন। এটা কে তৈরি করেছে, আমি অবাক।’’ এই প্রশ্নে মুকুল জানান, তাঁর মক্কেল আইনের বিষয়ে, অতটাও পেশাদার নন, তাই ভুল হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা সত্যিই আন্তরিক কি না সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি আমান্নুলা বলেন, ‘‘আমাদের নির্দেশের পরেও ভুল হয় কি করে? আমরা এই ক্ষেত্রে এতটা উদার হতে চাই না।’’এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত আরও বলে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে সমাজে সঠিক বার্তা দিতে হবে ।
এমনকি রামদেবের কাজে অসন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত। কারণ, রামদেব আদালতে ক্ষমাপত্র পাঠানোর আগে, সংবাদমাধ্যমে ক্ষমাপত্র
পাঠিয়েছিলেন, সেই কারণে শীর্ষ আদালত রামদেব এবং তাঁর সহযোগীর সমালোচনা করেছে । এই প্রসঙ্গে বিচারপতি কোহলি বলেছেন, ‘‘বিষয়টি আদালতে পৌঁছানোর আগে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এটি আমাদের জন্য আপলোড করা হয়নি। স্পষ্টতই ওঁরা প্রচারে বিশ্বাসী। তাই এমনটা করা হয়েছে।’’
শীর্ষ আদালতের ভৎর্সনার মুখে পড়েছে উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং বিভাগও, এত দিন ধরে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার জন্য, সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে উত্তরাখণ্ডের লাইসেন্সিং ইন্সপেক্টরের ভূমিকা নিয়ে, কেন তাঁরা নিজেদের কাজ ঠিক করে করেননি? এই কাজের গাফিলতির জন্য ইতিমধ্যেই লাইসেন্সিং বিভাগের তিন জন আধিকারিককে বরখাস্ত করা উচিত বলেও জানিয়েছে আদালতের পর্যবেক্ষণ। এমনকি উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং বিভাগকে উদ্দেশ করে
শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘‘আমরা বিষয়টি মোটেও হালকা ভাবে নেব না। আমরা কোনও ভাবেই ছেড়ে কথা বলব না।’’