মহানগর ডেস্ক: পোস্ট অফিস হলো টাকা জমাবার একটি দারুণ প্রতিষ্ঠান।সরকারি সুরক্ষা সহ দারুণ রিটার্ণের জন্য অনেকেরই টাকা জমাবার প্রথম পছন্দ পোস্ট অফিস।আপনি খুব কম সময় টাকা ডবল করতে পারবেন এর বেশ কয়েকটি স্কিমে।সঙ্গে কর সুবিধাও পাওয়া যাবে আয়কর আইনের 80C অনুযায়ী। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রকম 5টি পোস্ট অফিস স্কিম সম্পর্কে।
1. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড
একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা হলো পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড।বেতনভোগী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড খুব জনপ্রিয়।বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে দেওয়া হয়ে থাকে পিপিএফ-এর সুদের হার।ফলে রিটার্নও বেশি পাওয়া যায় এই প্রকল্পে।পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ভারত সরকারের সমর্থিত হওয়ায় বিনিয়োগে কোনও ঝুঁকি নেই। এতে বিনিয়োগ করা যায় 500 টাকা থেকে 1.5 লাখ টাকা পর্যন্ত।বিনিয়োগটি 80C-এর অধীনে ছাড়ের জন্য যোগ্য।
2. ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম
ন্যাশনাল সেভিং স্কিমের মেয়াদ হল 5 বছর। এটি সরকারি স্কিম হওয়ায় বিনিয়োগের ঝুঁকি খুবই কম এই স্কিমে।বিনিয়োগের কোনও উচ্চ সীমা নেই ন্যাশনাল সেভিংস স্কিমে।তবে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমা হল 1000 টাকা৷ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম অনেকের কাছেই টাকা জমাবার প্রথম পছন্দ, ভালো রিটার্ন ও টাকার নিশ্চিত সুরক্ষার জন্য।
3. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা
একটি কন্যা শিশুর নামে খোলা যেতে পারে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট।মেয়েটি 18 বছর বয়সে নিজের অ্যাকাউন্টের মালিকানা পায়। স্কিমটিতে প্রতি আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন 250 টাকা এবং সর্বোচ্চ 1,50,000 টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যানটি ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড় দেয়।
4. সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম
সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা যথাক্রমে 1,000 টাকা এবং 15 লাখ টাকা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অনুযায়ী। স্কিমটির একটি পাঁচ বছরের মেয়াদ রয়েছে যা অতিরিক্ত তিন বছরের জন্য বাড়ানো যায়। এতে বিনিয়োগ করতে পারেন 55 বছর থেকে 60 বছরের ব্যক্তিরা।
5. পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট
বিভিন্ন মেয়াদ রয়েছে পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিটের।এতে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ 1000 টাকা এবং কোন উচ্চ সীমা নেই। অ্যাকাউন্টধারীর সেভিংস অ্যাকাউন্টে বার্ষিক সুদ জমা হয়। 1961 সালের আয়কর আইনের ধারা 80C অনুযায়ী,কর ছাড় পাওয়া যায় 5-বছরের টাইম ডিপোজিট-এর ক্ষেত্রে।