মহানগর ডেস্ক: দু হাজার বাইশ সালের এপ্রিলে জেট ব্লু ফ্লাইটে সানফ্রানসিসকো যাওয়ার পর বিমানের যাত্রী মেলভিন টাওনসেন্ডকে এলোপাথাড়ি ঘুষি চালিয়েছিলেন প্রাক্তন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ান মাইক টাইসন। এবার তার খেসারত হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তিন কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মুখে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল বিমানে টাইসনের পেছনে বসে থাকা মেলভিনের মুখ লক্ষ্য করে পরপর ঘুষি মেরে চলেছেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ঘুসির চোটে তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। ঘুষিতে রক্তারক্তির পর টাইসনের প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন ওই যাত্রীটি অত্যন্ত উদ্ধত ছিল। জানান প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে ক্রমাগত প্ররোচনামূলক কথা বলে উত্তেজিত করার পরেও তিনি ওই যাত্রীর সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন।
এক বছর কেটে গিয়েছে। এখন মেলভিন ওই ঘটনার জন্য সাড়ে তিন লক্ষ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। ঘুষির চোটে তাঁর মুখ প্রায় চুরমার হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। চিকিৎসা করতে তাঁকে প্রচুর খরচ করতে হয়। টাউনসেন্টের আইনি প্রতিনিধির চিঠিতে দাবি করা হয়েছে ঘুষির ফলে তাঁর মক্কেলের মাথা ও ঘাড়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় এবং তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। টাউনসেন্ড মাথার যন্ত্রণা এবং নোসেয়া,অবসাদ ও কিছুটা স্মৃতিভ্রংশে ভোগেন। অনিদ্রা, ঘুমের সমস্যা দেখা যায়। মেজাজেও চরম পরিবর্তন এবং ভার্টিগো ও ঘটনার জেরে দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে উঠলে মানসিক অশান্তিতে ভুগেছেন।
জানা গিয়েছে ঘটনার সময় টাউনসেন্ডের মেডিকেল বিমা ছিল না। সে কারণে তিনি বড় রকমের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন না। এখনও তাঁর পাকস্থলির চিকিৎসা চলছে। মাঝেমাঝেই তাঁকে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হচ্ছে। এছাড়া মনোবিদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে এবং পিঠের ব্যথার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বাধ্য হন। বর্তমানে টাউনসেন্ডের আইনজীবী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এ নিয়ে কোনও বোঝাপড়া না হলে তাঁর মক্কেল মামলা করবেন। যদিও টাইসনের আইনজীবী এই দাবি মানতে চাননি। তবে বক্সারের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হয়। ২০২২ সালে সান ম্যাটেও কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি বলেছেন টাউনসেন্ড টাইসনকে ঘটনার আগে প্ররোচিত করায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। তবে সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন। তাঁকে বিরক্ত করা হয়েছিল। তিনি ওরকম মানুষ নন।