মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরে যেন বেড়েই চলেছে অশান্তি। মতুয়া মহাসংঘের অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেন নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূ সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ল বারুনি মেলাকে কেন্দ্র করে।ঠাকুরনগরের মতুয়া মেলার মাঠে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর সম্প্রতি বনগাঁর এসডিওর কাছে ১৪৪ ধারার আবেদন করেছেন। আর তারপরই সুর চড়িয়েছেন শান্তনু। মতুয়াদের ধর্মীয় মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। মতুয়াদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও শান্তনু নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শান্তনু ঠাকুর বলেন, ”হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে প্রতি বছরেই বারুনির মেলা হয়। মতুয়া ধর্মের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মেলা বন্ধ করার জন্য ১৪৪ ধারার আবেদন করা হয়েছে। এর জবাব লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভক্তরাই দেবেন।” যদিও মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, বিগত ১০ বছর ধরে মেলার প্রশাসনিক অনুমতি তাকে দেওয়া হয়। অথচ তিনি মেলায় ঢুকতে পারেন না। শান্তনু ঠাকুর মেলার মাঠে গিয়ে বসে থাকেন। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করেন। দুষ্কৃতীরা মেলায় ঢুকে দৌরাত্ম্য চালায়। শুধুমাত্র দুষ্কৃতীদের আটকাতে ১৪৪ ধারার আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাড়ছে তরজা। আইন কার্যকরী হওয়ার পর মতুয়া মহলে খুশির দাবি বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এটা নাগরিকত্ব হরণ করার আইন। লোকসভা নির্বাচনে নজরে মতুয়া ভোট। আর সেই ভোট ব্য়াঙ্ককে কেন্দ্র করে রাজনীতি তুঙ্গে।
চলতি মাসের ৬ তারিখ ঠাকুরনগরে শুরু হচ্ছে বারুনির মেলা। ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে এই মেলা বসে। ১৯৫৩ সালে শুরু হয় মেলা। কয়েক বছর আগেও এই মতুয়া মেলার রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ হওয়ার পর রাজনীতির বিভাজন ঘটে ঠাকুরবাড়িতে।গত কয়েক বছরে মেলার আগে কিছু না কিছু নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তরজা লেগেই থাকে। এবারেও তার অন্যথা হল না।