মহানগর ডেস্ক ; বিদেশ থেকে কলকাতায় এসেই মার খেলেন বাঙালি মার্কিন প্রবাসী । এই মার্কিন প্রবাসী বাঙালি পৈতৃক বাড়ি মেরামত করতে গিয়ে প্রমোটারদের রোষে পড়েন । কেন বাড়ি মেরামত করার সময় চাঁদা দেওয়া হয়নি এই নিয়ে ঝামেলা বাধে । চাঁদা দিতে নারাজ ছিলেন প্রবাসী বাঙালি । এর পরই প্রমোটার এবং তার ভাই সহ তাদের দলবল ওই প্রবাসী বাঙালিকে মারধর করে । এমনটাই বলে অভিযোগ করছেন অই ব্যক্তি। এই বিষয়ে তিনি রবীন্দ্র সরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং যাতে দোষীদের যাতে শাস্তি হয়, তারও আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি এই নিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন দূতাবাসেও।
মার্কিন প্রবাসী বাঙালির নাম জিষ্ণু নাথ, বাড়ি ১৬১ এফ কাকুলিয়া রোড, কলকাতা-২৯। রবীন্দ্র সরোবর থানার অন্তর্গত এলাকায় তাঁর বাড়ি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী বর্তমানে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলে, পেশায় তিনি সফটওয়ার আর্কিটেক্ট । বর্তমানে তিনি মার্কিন নাগরিক। গত ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বাড়িতে ফেরেন । বর্তমানে তাঁর নিজের পুরনো বাড়িতে সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজের দেখভাল করতেই তিনি দেশে ফেরন । সোমবার বেলা ১২ টায় কলকাতায় কাজে বাইরে বেরানোর সময় খোকন সরদার নামে এলাকার এক প্রোমোটার তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
কেন এই বাঙালি মার্কিন প্রবাসী কে কেন মারধর?
জিষ্ণুবাবুর দাবি যে, বাড়ি সংস্কারের কাজের জন্য চাঁদার দাবি করেন খোকন সরদার। কাজ শুরু করার পর থেকেই কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল খোকন। তাদের দাবি চাঁদা দিতে হবে।অএমনকি রাজমিস্ত্রিদের কাছ থেকেও টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ জিষ্ণুর। খোকনের ভাই ভাইলো সরদার তাকে মারধর করেছে বলে রবীন্দ্র সরোবর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এমন ভাবে মারা হয় যে তার চোখ মুখ ফেটে যায় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। জিষ্ণু আরও বলেন, গোটা বিষয়টি তিনি আজ মার্কিন দূতাবাসের আধিকারিকদের জানাবেন। জিষ্ণুবাবুর চোখে আঘাত লেগেছে। কব্জির কাছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত ছড়ে গিয়েছে। এবিষয়ে জিষ্ণুবাবু বলেন, তোলা নিয়ে গন্ডগোল। আমাকে বলা হল, আপনি কি জানেন না বাড়িতে কাজ করতে গেলে চাঁদা দিতে হয়? আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওরা আমাকে মারধর করা শুরু করে দেয়। কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারধর শুরু। খোকন সরদার মারধর শুরু করে। পরে ওর ভাই ভাইলো সরকার এসে আমাকে ঘুঁসি মারে। গতকাল অনেক রাতে এফআইআরের কপি পেয়েছি। এবার তা নিয়ে মার্কিন কনস্যুলেটকে জানাব। এখানে একটা স্কুল খোলার ইচ্ছে ছিল। সেটা এখন করতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না। কিন্তু এদিকে আবার প্রমোটার খোকন সরদারের ভাই ভাইলোর এবং রবিন সরদারের বক্তব্য, উনিই প্রথম ঝামেলা শুরু করেন। নির্মাণ কাজের সামগ্রী ওনার বাড়ির সামনে কেন রাখা হয়েছে তা নিয়ে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। নির্মাণ সাইটে পরে থাকা বাঁশ নিয়ে তিনি তেড়ে মারতে আসেন আর তারপরই এই ঘটনা ঘটে।