মহানগর ডেস্ক : অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভিভিপ্যাট পদ্ধতির মাধ্যমে কাগজের স্লিপ-সহ বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র বা ইভিএম-এ পাওয়া ভোটের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন বা ক্রস-ভেরিফিকেশন করার দাবিতে একটি আবেদনের শুনানির সময় বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কারও মনে যেন আশঙ্কা তৈরি না হয় যে, যেটা করা উচিত তা করা হচ্ছে না।’’ প্রসঙ্গত, ইভিএমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হল কি না, ভিভিপ্যাট স্লিপের মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে ভোটারের। কিন্তু নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে কাজ করা সংস্থা, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর_এর অভিযোগ, প্রতিটি বিধানসভায় ২০০টি ভিভিপ্যাট মেশিন থাকলেও পাঁচটির বেশি ভিভিপ্যাট গণনাই করা হয় না।
এই মামলার শুনানিতে এডিআরের আইনজীবী নিজাম পাশা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ভিভিপ্যাট স্লিপ সংগ্রহ করে ব্যালট বাক্সে ফেলার সুযোগ দেওয়া উচিত ভোটারদের। জালিয়াতির সম্ভাবনা আটকাতে প্রতিটি ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা করা উচিত।’’ সংস্থার আর এক আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বুধবার এই মামলার শুনানিতে জানিয়েছিলেন, ইউরোপের অধিকাংশ দেশই ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করাতে শুরু করেছে। ফলে ভারতেও ব্যালটে ফিরে যাওয়া যেতে পারে, সেটা না হলে ভিভিপ্যাট স্লিপ ভোটারদের হাতে দেওয়া হোক। ভোটাররাই সেটি ব্যালট বাক্সে জমা করবেন।
কিন্তু এই ব্যবস্থায় ভোটারের পছন্দের গোপনীয়তা রাখার গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি খন্না। আবেদনকারী পক্ষ তখন জানায়, সেই সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। প্রশান্তের মন্তব্য, ‘‘গোপনীয়তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।’’ কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ভোটারকে ভিভিপ্যাট স্লিপ দেখতে দিলে গোপনীয়তা রক্ষা করা ঝুঁকির বিষয় হয়ে যাবে।
এর আগে এই প্রসঙ্গে ইভিএম এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্যাম পিত্রোদা।