মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলবার সকাল থেকে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সল্টলেক, বাগুইআটি, কৈখালি, নিউ আলিপুর সহ কলকাতা ৬ জায়গায় দলে দলে ভাগ হয়ে ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরাই এই মুহূর্তে ইডির স্ক্যানারে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের জট খুলতে ইডির এই অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে দেখেই অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন কৈখালির এক ব্যবসায়ী হানিস। নিজের মোবাইল দুটি তিনি ছুঁড়ে মারলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। এর আগে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও তথ্য লুকোতে একই কাণ্ড করেছিলেন। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন সিবিআইয়ের হাতে। হানিসের ক্ষেত্রেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর মোবাইল দুটি পাশের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটি বাকিবুরের নামে রয়েছে। তবে এই ফ্ল্যাটে বাকিবুর নয় থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। তাঁর ফ্ল্যাটেই এদিন যায় ইডি। তদন্তকারীদের দেখেই নিজের দুটি মোবাইল ছুঁড়ে দেন হানিস। পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে মোবাইল দুটি পড়ে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোবাইল উদ্ধার করেছে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। হানিস ফ্ল্যাটেই আছেন। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
গত বছর একই ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় তদন্তকারীদের হাত থেকে তথ্য গোপন করতে জীবনকৃষ্ণ শৌচালয়ে ঢুকে পাশের পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে পুকুর ছেঁচে বিশেষজ্ঞরা সেই মোবাইল উদ্ধার করেন। একই কাণ্ড ঘটালেন এবার বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডির অনুমান সন্দেহজনক তথ্য লুকোতেই মোবাই ছুঁড়ে ফেলেন হানিস।