মহানগর ডেস্ক: ৪১ জন শ্রমিককে অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলেই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করার পর ৪১ শ্রমিককে বের করার পর, অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিন্নালীসর স্থানীয় হাসপাতালে। এর পর আরও উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য শ্রমিকদের ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক(Chinook) কপ্টারে ঋষিকেশ এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যদিও কর্মীদের কেউই বাহ্যিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়নি বলেই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে প্রিমিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্রমিকডের যাতে শারিরিক পরীক্ষাগুলি দ্রুত এবং আরও কার্যকরভাবে করা যায়। ১২ নভেম্বর থেকে সেখানে আটকে থাকার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিল্কিয়ারা-ডিন্দালগাঁও টানেল থেকে নিরাপদে বের করে আনা নির্মাণ শ্রমিকদের চিনিয়ালিসাঘরের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিনুক হেলিকপ্টারটিকে কাছাকাছি একটি হেলিড্রোমে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল। শ্রমিকদের সুবিধার্থে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সারাক্ষণই খবর নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন বাংলার ৩ জন শ্রমিক। তাঁদের রাজ্যে ফেরালে উত্তাখণ্ডে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার আধিকারিকরা। রয়েছেন শ্রমিকদের সঙ্গেই। বাংলার শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে সব ব্যবস্থা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দরের টিকিট কাটা হবে বলেই জানা গিয়েছে। হাস্পাতাল থেকে একেবারে ফিট এই সার্টিফিকেট দিলেই রাজ্যে ফেরানো হবে। ঘরে ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ৪১ জনের পরিবার। চিন্তার কালো মেঘ তো সরেছে তবে একবার দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পরিবাররে সদস্যরা।