মহানগর ডেস্ক: যত বড়ই ব্যক্তি হোন বা প্রতিষ্ঠান হোক, প্রতারকদের কাছে তা নেহাতই তুচ্ছ। এবার দেশের শীর্ষ আদালতের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট (Fake Website Of Supreme Court)বানিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য চুরির অভিযোগ করল স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট! এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি বিভাগ এ নিয়ে সতর্কতা জারি করে কেলেঙ্কারি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সজাগ হওয়ার কথা বলল।
রেজিস্ট্রি বিভাগ জানিয়েছে তারা জানতে পেরেছে সুপ্রিম কোর্টের সরকারি ওয়েবসাইট নকল করে তথ্য হাতানো শুরু করেছে প্রতারকরা। ভুয়ো ওয়েবসাইটটি তৈরি করে ইউআরএলের মাধ্যমে কারবার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওয়েবসাইট এবং ভুয়ো ইউআরএল দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলি আসলে ভুয়ো, প্রতারকদের কারসাজি। শুধু একটি ইউআরএল নয়, আরেকটি ইউআরএলও কাজে লাগিয়ে রীতিমতো বড় মাপের প্রতারণার ছক ফেঁদেছে প্রতারকরা।
শিরোনাম দেওয়া হয়েছে অফেন্স-মানি লন্ডারিং, যা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ও ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে তথ্য হাতানোর ফিকির করেছে তারা, যে অভাবনীয় ঘটনায় খোদ শীর্ষ আদালতও অবাক। হুবহু আসলের মতো দেখতে ওয়েবসাইটে অপরাধের বিশদ বিবরণের জন্য ফাঁকা জায়গা হয়েছে এবং সেখানে ব্যাঙ্কের নাম, ফোন নম্বর, প্যান নম্বর, অনলাইন ব্যাঙ্কিং আইডি, লগ ইন পাসওয়ার্ড ও কার্ড পাসওয়ার্ডের জন্য ইউজারদের বিভিন্ন বক্স রয়েছে।
রেজিস্ট্রি স্পষ্ট জানিয়েছে ওই ইউআরএলগুলি যাঁরা দেখতে পাবেন, তাঁরা যেন কোনও অবস্থাতেই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয় তথ্য শেয়ার না করেন। কেউ যদি তা করেন, তাহলে তাঁদের তথ্য হেসেখেলে প্রতারকরা হাতিয়ে নেবে।
রেজিস্ট্রির পরামর্শ, সুপ্রিম কোর্ট কখনও ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক বিবরণ কখনও জানাতে বলে না। রেজিস্ট্রি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা এজেন্সিগুলিকে এ ধরণের প্রতারণা সম্পর্কে সজাগ করেছে যাতে তারা ষড়যন্ত্রীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের সরকারি ডোমেইন হল www.sci.gov.in এবং সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ক্লিক করার আগে ইউএআরএলগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করতে।