মহানগর ডেস্ক: ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ এক মহিলাকে চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। চায়না বাই কাচি নামে ওই মহিলাকে চুল ধরে টানতে টানতে ভ্যানে তোলা হচ্ছে। চায়না বাইয়ের দাবি কাটনি জেলায় কৌটরিয়া গ্রামে তার জমিতে বৈদ্যুতিক পোস্ট বসানোর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এনিয়ে দাবি জানানোর পরই মহিলা পুলিশ তাঁকে চুল ধরে টানতে টানতে ভ্যানে তোলে।
নিগ্রহের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই পুলিশের এক প্রবীণ অফিসার ওই মহিলাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান পুলিশ আইন মেনেই কাজ করেছে। তাঁর পাল্টা দাবি, ভিডিওটি বেশ পুরনো। তবে কোন তারিখের ঘটনা ওটি, তা জানানো হয়নি। চায়না বাই জানান তাঁর জমিতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার বসানো হলেও কোনও ক্ষতিপূরণ তিনি পাননি। জানান টাওয়ার বসানোর জন্য বুলডোজার তার জমিতে এসেছিল, সেসময় তিনি ও তাঁর আত্মীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু পুলিশ এসে তাকে ধাক্কা মারতে মারতে লকআপে নিয়ে যায়। তাঁর চার আত্মীয়কেও লকআপে নিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। চায়না বাই ও তাঁর আইনজীবী জেলা শাসকের অফিস ও জেলা পুলিশ প্রধানের অফিসে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যান। পাশাপাশি জানান নিয়ম মতো জমিতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার বসানোর জন্য কোনও ক্ষতিপূরণও তিনি পাননি। তাঁর অভিযোগ, ঠিকাদাররা বিদ্যুৎ সংস্থা, রাজস্ব দফতরের কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁর জমি হাতানোর চেষ্টা করেছিল।
এদিকে নিগৃহীতা মহিলার আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কড়া সমালোচনা করেন। কেউ তাঁর মক্কেলের অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। চায়না দেবী পুলিশ, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
এদিকে সংবাদমাধ্যমকে পুলিশের কর্তা জানান চায়না বাই নামে ওই মহিলা প্রকাশ্যে গোলমাল করছিলেন এবং বৈদ্যুতিক টাওয়ার বসানোর কাজে বাধা দিয়েছিলেন। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে মারধর করার কথা অস্বীকার করেছেন পুলিশের কর্তা। জানান মহিলা পুলিশের দল আইন মেনেই কাজ করেছে।