মহানগর ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরই শুধু নয়, উত্তর পূর্বও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে এসেছে। এবার ২০১৯ সালে সীমান্তবর্তী রাজ্য ভাগ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত(Supreme Court Observations)। গতকাল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন যখন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বিষয়টি ন্যস্ত হয়, তখন একটি রাজ্যকে ভাগ করা নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ রাজ্য ভাগ করার বিষয়টি সংসদ স্থির করতে পারে না, এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পথ সুগম করে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক গুচ্ছ আবেদনের বারোতম শুনানির দিন কেন্দ্র যুক্তি হিসেবে তুলে ধরে জম্মু-কাশ্মীর এমনই একটি ইস্যু বলেই মনে করা হচ্ছে।
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যদি গুজরাত বা মধ্যপ্রদেশকে ভাগ করা হতো, সেক্ষেত্রে প্যারামিটার অন্যরকম হতো। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি এসকে কাউল জানান এ দেশে বহু রাজ্যেই সীমান্ত রয়েছে। সলিসিটার জেনারেল মেহতা জবাবে জানান সমস্ত প্রতিবেশি রাষ্ট্র বন্ধুত্ব মনোভাবাপন্ন নয়।
অতীতের ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যেমন পাথর ছোঁড়া,হামলা ও সন্ত্রাস হামলা সেখানে চলে আসছে, সেখানে জম্মু-কাশ্মীরকে মূল স্রোতে নিয়ে আসাটা প্রয়োজন। পাশাপাশি পঞ্জাব ও উত্তর পূর্ব ভারত নিয়ে আদালতে বক্তব্য রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন যদি মেনে নেওয়া হয় দেশের প্রতিটি রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ন্যস্ত রয়েছে, তাহলে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে, তাদের অনুমান মোতাবেক বঞ্চনার ক্ষেত্রে এই ক্ষমতার অপব্যবহার হবে না।