মহানগর ডেস্ক : জেলায় জেলায় ধরা পড়ছে জলকষ্টের ছবি। সেখানে জলের সন্ধানে কুয়ো খুড়তে গিয়ে সন্ধান মিললো মূল্যবান খনিজের যা দেখে চক্ষু চরকগাছ সকলের।আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনা।পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে কুয়ো খননের উদ্যোগ নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ গৌরীশঙ্কর পান্ডা। কিন্তু মাটি কিছুটা খুঁড়তেই জলের বদলে সেখান থেকে উঠে এল কয়লা। পরিস্থিতি দেখে তখনই খনন বন্ধের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুরসভার মেয়রকে।
আসানসোল শহরের অদূরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিবেকানন্দ সরণির ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ার কলেজে রয়েছে ৪টি হস্টেল। বাসিন্দা প্রায় ১০০০ পড়ুয়া।কলেজে জল আসে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের লাইন থেকে। তিনটি এলাকা থেকে বোরিং করেও জল তোলা হয়। কিন্তু এতেও জল সমস্যা না মেটায় কুয়ো খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর কুয়ো খুঁড়তেই সন্ধান মিললো কালো সোনার।
এ বিষয়ে অধ্য জানান, ”২২ ফুট খোঁড়ার পর কয়লার স্তর বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে খোঁড়া বন্ধ করে দিই। বুধবার জেলাশাসক ও আসানসোল পুরসভার মেয়রকে পুরো ঘটনা লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” তবে, পূর্বাঞ্চলে কয়লার মালিকানা কোল ইন্ডিয়া বা তার অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের। সরকারি ভাবে তাদের এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।