মহানগর ডেস্ক : জোটে থেকেও নেই। বামেদের লিস্টে নাম নেই আইএসএফ প্রার্থীদের। এবার একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আইএসএফ। বামেদের দাবি, তারা আসন সমঝোতা করতে চেয়ে বৈঠকের ডাক দিলেই নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছননি আইএসএফের কোনো প্রতিনিধিই। অগত্যা তাই ভোট ময়দানে একলা চলো রে নীতিতেই ভরসা নওশাদ সিদ্দিকীরদের। প্রার্থী ঘোষণার পর শুরু হয়ে গেল প্রচার।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশীপুর বাজারের কাছে একটি আমবাগানে কর্মিসভা করে ভোটের প্রচার শুরু করে আইএসএফ। সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।এ দিন নওশাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান, দলের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক-সহ অন্যান্য নেতারা। সভা থেকেই সিপিএম, কংগ্রেস সবাইকে আক্রমণ করেন নওশাদ। ছাড় পায়নি তৃণমূলও। তবে কর্মীসভায় কর্মীদের অভাব ছিল স্পষ্ট। যেকটি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ভরাতে ব্যর্থ হয় আইএসএফ।
প্রচারের শুরুতেই বামেদের আক্রমণ শানান নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি নিজেকে সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক হিসেবে দাবি করেন। তাঁর দাবি, এখনও বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নওশাদ বলেন,”আমরা একসঙ্গে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। ভাঙড়ে সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ, রশিদ গাজির মতো কিছু ভালো মানুষ রয়েছেন।ভাঙড় ঠিক করে যাদবপুরে কে জিতবে। ভাঙড়কে সামনে রেখে আমরা যাদবপুর লোকসভায় জিতব। এতদিন আমাদের মাথার উপর কাঁঠাল রেখে বামেরা খেয়েছে। এ বার থেকে সেটা হবে না।” কর্মীদের উদ্দেশ্যে নওশাদের বার্তা,”আপনারা বুথ কমিটি তৈরি করে বাড়ি বাড়ি যান। মানুষের কাছে ভোট চান। আমি ভাঙড় থেকে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। সেই মার্জিন বাড়াতে হবে।”