মহানগর ডেস্ক : এসএসসি দুর্নীতি মামলার রায়কে বেআইনি বলে প্রকাশ্যে গর্জন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়াও নানা মন্তব্য করেছেন ভরা সভা থেকে। এবার আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা-আইজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলছেন তা সাংবিধানিক আদালতের চূড়ান্ত অবমাননা বলে দাবি করেছেন বিকাশ। আর তাই এই বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ করুক উচ্চআদালত, তেমনটাই আবেদন বিকাশরঞ্জনের। প্রধান বিচারপতি হলফনামা দিয়ে আইনজীবীকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তর্জমা করে যেন আদালতকে দেওয়া হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে। আজই দ্বিতীয়ার্ধে মামলার শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত,কীর্তি আজাদের সমর্থনে একটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকে বলুন তো যাঁরা একতরফা রায় দিয়ে ছাব্বিশ হাজার ছেলে মেয়ে চাকরি খেয়ে নিলেন, আর কী বললেন এক মাসের মধ্যে ৮ বছরের মাইনে সুদসহ ফেরত দিতে হবে, যাঁরা রায়টা দিলেন, আমি নাম বলছি না, তাঁদের ঘরের কেউ যদি হত? সরকারি টাকায় চলবে, খাবে, সিকিউরিটি নেবে, আর এক কলমের খোঁচায় সবার চাকরি চলে গেল! আপনার নিজের ছেলেমেয়েদের চাকরি চলে গেলে আপনি কি ভাবতেন না? একবারও ভাববেন না? যদি কোনও ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করে, তার দায় কি আপনারা নেবেন?’ বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে মমতা বলেন,’চিন্তা করবেন না, আমরা আমাদের সাধ্যমত সমস্ত কিছু চেষ্টা করব, যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে স্কুলে চাকরি করছেন, তাঁদের একটা সামাজিক সম্মান আছে। আর যারা স্কুলে পড়ে তারাই বা কোথায় যাবে? স্কুলগুলিতে শিক্ষক কোথা থেকে আসবে? স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা বসে থাকবে, আর ওখানে কি বিজেপির লোকেরা পড়াবে? না কি আরএসএস পড়াবে?’ এখানেই শেষ নয় গলসির জনসভা থেকে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘এরা (বিজেপি) কোর্ট কিনে নিয়েছে, আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না, সিবিআই-কে কিনে নিয়েছে, বিএসএফ-কে কিনে নিয়েছে!