বিক্রম ব্যানার্জী: ফের আরও একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনল কানাডা সরকার। কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার পিছনে শাহের মদত রয়েছে বলেই বহুবার দাবি করা হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের তরফে। তবে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তোলা একাধিক অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নস্যাৎ করা হলেও মঙ্গলবার খলিস্তানপন্থী আন্দোলনের শিখ নেতার হত্যার কারণ প্রসঙ্গে আবারও উঠে আসে অমিত শাহেরই নাম।
খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের হত্যাকারী অমিত শাহ!
এক মার্কিন সংবাদ সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কানাডার কর্মকর্তারা খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের হত্যার পিছনে অমিত শাহকেই দায়ী করছেন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি ও হিংস্রতা প্রদর্শনের পিছনে নাকি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত রয়েছে। এছাড়াও কানাডার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের হত্যার চেষ্টায় অমিত শাহের উপস্থিতি প্রসঙ্গে জানান,
‘এক সাংবাদিক তাকে কল করে জানতে চেয়েছিলেন গোটা ঘটনার পিছনে দায়ী ব্যক্তি কি একজনই, তিনি তার জবাবে বলেছিলেন হ্যাঁ, ইনিই সেই ব্যক্তি।’ এছাড়া এ বিষয়ে স্পষ্ট করে আর কিছুই জানাননি মরিসন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা অথবা হত্যার চেষ্টা পিছনে অমিত শাহের হাত আছে কিনা সেই বিষয়ে অটোয়ার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও বক্তব্য আসেনি। ভারতীয় মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে মুখ খুলতে অনিচ্ছুক।
উল্লেখ্য, 2023 সালে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পরই সেই ঘটনার সাথে ভারতীয় কূটনৈতিকদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে তাদের বহিষ্কার করে কানাডার সরকার। এরপরই ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার খালিস্তানপন্থী নেতাদের হত্যার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও আমেরিকার নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে নাম জড়ায় বিকাশ যাদব নামের এক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তার।
পরবর্তীতে ওই ঘটনায় নিখিল গুপ্ত নামে আরেক ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছিল আমেরিকার প্রশাসন। তবে বর্তমানে কানাডা ও আমেরিকার ঘটনায় সেভাবে কোনও বক্তব্য প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় বারংবার উঠে আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম। ফলত অভিযোগ অস্বীকার করলেও গোটা ঘটনায় স্বল্প হলেও বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে অপ্রত্যাশিত ড্রোন হামলা চালাল ইরাকের সশস্ত্র সংগঠন দ্য ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স!