মহানগর ডেস্ক : গত এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবারও মাওবাদী দমন অভিযান হল ছত্তীসগঢ়ে। এ বারের অভিযানে নিহত ১২ জন মাওবাদী। শুক্রবার দুপুর থেকেই ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার গঙ্গালুরে শুরু হয়েছিল পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি সংঘর্ষ। সন্ধ্যায় ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই জানান, ‘‘গঙ্গালুরের ওই এলাকায় ১২ জন মাওবাদীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।’’
গত এপ্রিল মাসে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে ছত্তীসগঢ়ের মৃত্যু হয়েছিল ২৯ জন মাওবাদীর। তবে সেই অভিযান হয়েছিল বস্তারে। শুক্রবারের অভিযান হয়েছে বিজাপুর জেলায়। যা বস্তারের মতোই ছত্তীসগঢ়ের দক্ষিণাংশের জেলা গুলির একটি। বস্তার আর বিজাপুরের মধ্যে রয়েছে ছত্তীসগঢ়ের আরও দুই জেলা দান্তেওাড়া এবং সুকমা। এই সবকটি জেলাতেই মাওবাদীরা সক্রিয়।
শুক্রবার বিজাপুরে মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্যের জন্য পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। ছত্তিীসগঢ়ের প্রশাসনিক পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়ে চলতি বছরে ১০০-এরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হল যৌথবাহিনীর অভিযানে।
গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ৯১ জন মাওবাদী নিহত হয়। শুক্রবারের অভিযানের পর তা বেড়ে দাঁড়াল ১০৩-এ। ২০১৯ সালের পর থেকে এক বছরে নিহত মাওবাদীর সংখ্যা হিসাব করলে, এই সংখ্যাটিই সর্বোচ্চ।
১১২ জন মাওবাদী ২০১৮ সালে নিহত হন। ২০১৬ সালে নিহত হন ১৩৪ জন। ছত্তীসগঢ় রাজ্যটি তৈরি হওয়ার পর থেকে এই সংখ্যাটিই ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গোয়েন্দারা বিজাপুরের গঙ্গালুর এলাকাকে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করে। এলাকাটি বিজাপুরে পিড়িয়া থানার অন্তর্গত। শুক্রবার এই অভিযানের সাফল্যের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী সাই বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বরাবর বলে এসেছেন, তাঁরা ছত্তীসগঢ়কে মাওবাদী মুক্ত করতে চান। ছত্তীসগঢ়ের মানুষ এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুফল পাচ্ছেন।’’
প্রসঙ্গত নোটবন্দির অন্যতম কারণ ছিল মাওবাদীদের গোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করা, তাহলে নোটবন্দির সুফল পাওয়া যায়নি! এখনও ছত্তীসগঢ়ে এই বিপুল পরিমাণ মাওবাদী হত্যার ঘটনাই সেটা প্রমাণ করে।