মহানগর ডেস্ক: ভারতে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ।দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের উপপ্রজাতি জেএন.১-এ আক্রান্তের হদিস মিলেছে। তার পরেই সজাগ কেন্দ্র। ডিসেম্বর মাস উৎসবের মৌসুম হওয়ায় করোনার উদ্বেগ যেন আরই বেড়ে চলেছে। তবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে সাতটি বিশেষ নির্দেশিকা। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে বলা হয়েছে সেগুলি হল:
১. ডিসেম্বর মাস মানেই উৎসবের মরশুম। কিন্তু উৎসবের জেরে ভোলা যাবে না করোনা ভাইরাসকে।নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মৌসুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি জানানো হয়েছে,রোগ যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. কোভিড-১৯ নিয়ে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে।
৪. ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে যে রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আসছেন, তাদের উপর নজর রাখার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কি না, সেইদিকেও নজর রাখতে হবে। এই নিয়ে জেলাভিত্তিক রিপোর্ট দিতে হবে।
৫. কোভিডের নির্দেশিকা মেনে প্রত্যেক জেলায় পরীক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপর জোর দিতে হবে। কারো রিপোর্ট পজিটিভ এলে নমুনার জিনোম পরীক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক কনসর্টিয়ামে পাঠাতে হবে। যাতে দ্রুত নতুন উপপ্রজাতির হদিস মেলে।
৭. সমগ্র দেশবাসীকে মাস্ক পড়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ৩১ শে ডিসেম্বরের জন্য কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে-কোনও রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদি জায়গাতে পঞ্চাশ শতাংশ জায়গা নির্ধারিত হবে জনসাধারণের জন্য। অর্থাৎ রেস্তোরাঁ বা বারের ভিতরে জনসাধারণের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি, রেস্তোরাঁ, বার এবং বিভিন্ন জনবহুল জায়গাগুলি ৩১শে ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি শুধুমাত্র রাত বারোটা অবধিই খোলা থাকবে।
এছাড়াও বলা হয়েছে,সকলকেই মাস্ক পড়তে হবে। আনন্দ করার পাশাপাশি দেখতে হবে রোগ যেন অপরজনের মধ্যে না ছড়িয়ে পড়ে, নিজেদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, খুব বেশি ভিড় বহুল জায়গা এড়িয়ে যেতে হবে। শীতে করোনার প্রভাব অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে যতটা সম্ভব, সতর্ক থাকতে হবে।পাশাপাশি,ডিডিএমএ আদেশ সভা এবং সম্মেলন, প্রদর্শনী এবং বিবাহ ব্যতীত অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি করার জন্য ব্যাঙ্কুয়েট হলগুলিতে নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে।