মহানগর ডেস্ক: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হাড়ের যত্ন নেওয়া— সবেতেই প্রোটিনের ভূমিকা অনবদ্য। কারণ প্রোটিনের অভাবে মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। পেশি শক্তিশালী করতে যেমন পর্যাপ্ত প্রোটিন দরকার, তেমন যাঁরা ওজন কমাতে চান তাদেরও শরীর গঠনের জন্য খাদ্য তালিকায় প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। আর এই প্রোটিন মানেই আমরা অনেকেই ভাবি মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। তাই প্রোটিনের কথা উঠলেই বাড়ির রান্না ঘর ভরে ওঠে এই সব খাবারে। তাই যারা ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাশী মানুষ তাদের মনে হতো তাহলে তারা শরীরে কিভাবে প্রোটিন দেবেন! কিন্তু জেনে রাখা প্রয়োজন একাধিক ফলেও রয়েছে প্রোটিন। সেই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকরা সেই প্রোটিন জাতীয় ফল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সব ধরণের নয়, বেশ কয়েকটি বাছা বাছা ফলেই রয়েছে এই প্রোটিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই তালিকায় কি কি ফল রয়েছে।
১. পেয়ারা- পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে সেটা কমবেশি সবার জানা। কিন্তু এই সুস্বাদু ফল দিয়ে তৈরী জ্যামও বেশ পছন্দ করে শিশুরা। কিন্তু এ কথা কি জানেন, প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন? তাই ভিটামিনের মতো প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে খেতে পারেন পেয়ারা।
২. কিশমিশ- আঙুর ফল শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। পায়েস, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস তো বটেই, বিভিন্ন তরিতরকারি বানাতেও কিশমিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। আর এই প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশের মধ্যে থাকে ৩ গ্রাম প্রোটিন। যা শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে পারে।
৩. কমলালেবু- বাঙালির কাছে শীতকাল মানেই ফলের তালিকায় থাকবে কমলালেবু। কারণ কমলালেবু যেমন স্বাদে অতুলনীয়, তেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। কারণ কমলালেবুতে ভিটামিন ছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে থাকে ০.৯ গ্রাম প্রোটিন।
৪. কাঁঠাল- জামাই ষষ্ঠী মানেই পাতে কাঁঠাল থাকবেই। অনেকেই আছে কাঁঠাল দেখলেই জিভে জল আসে। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই খাবারে প্রোটিন কতটা। বিশেষ করে যাঁরা মাংস খান না, তাঁদের জন্য কাঁঠাল অতুলনীয় প্রোটিন জোগায় শরীরে। কারণ অবিশ্বাস্য ভাবেই এক কোয়া কাঁঠালে থাকে ২.৮ গ্রাম প্রোটিন।
৫. কলা- শীতের পিকনিক থেকে গরমের ফ্রুট স্যালাড সেখানে কলার উপস্থিতি থাকবেই। শরীর কষে যাবার হাত থেকে কলা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে কারণ কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আরও নানা ধরনের উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিনও। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১.১ গ্রাম প্রোটিন। যা শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে নিমেষে।
তাই দেরি না করে যারা প্রাণীজ প্রোটিনেই অভ্যস্ত, তারা কিন্তু অনায়াসে এই উদ্ভিদজ প্রোটিন গ্রহণ করতে পারে। আর যারা নিরামিষাশী মানুষকে তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতেতো আরও বেশি করে এই খাবারগুলি খেতে হবে।