মহানগর ডেস্ক : নতুন কেন্দ্রে লড়তে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটুক্তি করে জেপি বাড্ডার কাছ থেকে শো-কজ-এর নোটিশ পেলেন দিলীপ ঘোষ। তবে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ভুল স্বীকার করলেও তাঁর এই বক্তব্যের স্বপক্ষে পাল্টা যুক্ত৭ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে মর্যাদাহানিকর বলে এই মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজারা তৃণমূলের তরফে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এলেন লিখিত ভাবে। ব্রাত্য বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নারী স্বাধীনতার জন্য যে নিঃশব্দ বিপ্লব করছেন দিলীপ ঘোষ তার বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করছেন সেই কারণে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদ করা উচিত। দিলীপ ঘোষ নারীবিদ্বেষী।”
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি পড়ে দল তাঁকে শো-কজ করলেও দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, “দল যখন শো-কজ করেছে, আমি মানছি ভুল হয়েছে। আমার কথা নিয়ে বিতর্ক হয়। তবে মহিলা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বললেই সেটা কুরুচির পরিচয় হবে কিন্তু আমাদের দলের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাবা শিশির অধিকারীকে যখন তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কুমন্তব্য করেছিলেন, তখন কেউ কিছু বলেননি কেন? মহিলা বলে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না?
ইতিমধ্যেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শো কজ করেছেন দিলীপ ঘোষকে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য “অশোভনীয়” এবং “অসংসদীয়” বলে লেখা হয়েছে সেই চিঠিতে। পাশাপাশি এই ধরনের মন্তব্যের সমর্থন যে বিজেপির দলীয় মন্তব্য নয়, সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয় শো-কজ-এর চিঠিতে। কেন এই ধরনের মন্তব্য, সেই জবাবও তলব করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের কাছে।
তবে দলের তরফে শো-কজের চিঠি পেয়ে তিনি যে থমকে যাওয়ার পাত্র নয় সেটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “আমার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক এই প্রথমবার নয়। কারণ যে ভণিতা করে, অন্যায় করে, আমি তাঁর সামনেই তাঁকে যা বলার বলি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঝগড়া নেই। তাঁকে নিয়ে মনে কোনও শ্লেষ নেই। কিন্তু তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বারবার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন, আমি তার প্রতিবাদ করেছি এবং তা নিয়ে প্রশ্ন করেছি। আমার ভাষা শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বহু লোকের আপত্তি আছে, পার্টিও বলেছে, অন্যরাও বলেছে। বলেছে অসংসদীয়। যদি তাই হয় আমি তার জন্য দুঃখিত।”
<span;>তবে দুঃখ প্রকাশ করেও দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, শিশির অধিকারীকে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটুক্তি করতে পারবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার পরও তাঁর সেই বক্তব্যের সমালোচনা করলে দোষ!