মহানগর ডেস্ক : আর্থিক দুর্নীতির কারণে ২৮ মার্চ দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে। তবে তিনি সেই তলব উপেক্ষা করে নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে বৃহস্পতিবার প্রচারে গেলেন। প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ করতে করতে ইডির তলব প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র জানিয়ে দিয়েছেন, “প্রচারের কাজে ব্যস্ত আছি, তাই আমি ইডির তলবে দিল্লি যেতে পারছি না। ইডি নিজের কাজ করুক, আমি আমার কাজ করছি। এখন নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে।”
প্রচারে বেরিয়ে মহুয়া বৃহস্পতিবার বলেন, “সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনি হোম ওয়ার্ক করে আসেননি স্যর।”
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারের বধু, যিনি এবার বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণনগরের, তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজা রামমোহন রায় ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে মিলিয়ে ফেলেন। এদিকে মহুয়া মৈত্রর ইডির তলবে দিল্লি না যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “দিল্লি ডাকলে না গেলে কি হয় সেটা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী টের পেয়েছেন। দেখবেন আপনার আবার ভুক্তভোগী হতে না হয়। তাছাড়া তৃণমূলতো অনেক আগেই ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রচারে যথেষ্ট সময় পেয়েছে এবং পাচ্ছে। বিজেপি তো পরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তাই প্রচারে সময় না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে দিল্লি না গিয়ে তিনি ঠিক করলেন কি না সেটা সময় বলবে। তৃণমূল কেন এমনবএকজন অপরাধীকে প্রার্থী করল? শীর্ষ আদালত তো ওনার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে। যে কারণে অরবিন্দ কেজরিওয়ার দিল্লির ডাকে যাননি, সেই কারণেই মহুয়া মৈত্রও গেলেন না, এই না যাওয়া শেষে বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে না তো?”
টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন বিতর্কে মহুয়া মৈত্রকে ইতিমধ্যেই সাংসদ পদ থেকে বহিস্কার করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। লোকপাল মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বহিস্কৃত সাংসদকে ফের কৃষ্ণনগর লোকসভাতেই প্রার্থী করেছে। এদিকে বুধবারই মহুয়াকে ইডি নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিদেশি মুদ্রা লংঘন আইনে তলব করে, ইডির এই তলবে না গিয়ে মহুয়া জানান, “আজ আমার কালীগঞ্জে প্রচার আছে।”
এখন দেখার ইডির তলবে না যাওয়ার ফলে মহুয়ার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় ইডি।