মহানগর ডেস্ক: ওএমআর শিট কারচুপি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি একেবারে তোলপাড়। এবার সেই অভিযুক্ত ৪০ জন চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সে কারণেই শুক্রবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বৈঠকে বসেন এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিক, মামলাকারীদের আইনজীবী এবং সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই বৈঠকের পর সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আচার্য ভবনে আয়োজিত বৈঠক শেষ হতেই মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেতো বৈঠক থেকে একটি রিপোর্ট বানানো হচ্ছে। সিবিআই প্রায় পুরো কাজ করে ফেলেছে, শুনানির সময় সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে আদালতে। ওয়েমার সিট নিয়ে সিবিআই দেওয়া তথ্য ও এসএসসির সার্ভারে থাকা তথ্যের নিরিখে একটি তুলনামূলক তালিকা তৈরি করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ওএমআর শিটে কারচুপির সম্ভাবনা কম থাকায় স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ পদ্ধতি স্বচ্ছতা আনতেই এই পদ্ধতির প্রচলন শুরু করে। কিন্তু এখন অভিযোগ, উল্লিখিত ৪০ জনের ওএমআর শিটেই হয়েছে কারচুপি। তারপরই তাদের প্যানেলে নাম তোলা হয়। আর তারপরই আদালতের প্রশ্ন, ‘এই ৪০ জনকেই এসএসসি সুপারিশ করেছিল? ৪০ জনই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন? তারা কি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন? যদি চাকরিতে যোগ দিয়ে থাকেন, তবে কোন স্কুলে তারা চাকরি করতেন?’ এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আচার্য ভবনে আয়োজিত হয় বৈঠক।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই আদালতে সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর ওএমআর শিট জমা দিয়ে সিবিআই দাবি করে জমা পড়া প্রত্যেকের নম্বর বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এদের আসল প্রাপ্ত নম্বর ৫ বা ৬ হবে, কিন্তু তাদের অবৈধভাবে নম্বর বাড়িয়ে ৫৩ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন অপেক্ষা এই মামলার পরিণতি ঠিক কি হয় তা দেখার।