মহানগর ডেস্ক:এবার ভিড় এড়িয়ে সেরে নিন দার্জিলিং ভ্রমন।নিরিবিলি পরিবেশে মন ভরে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয়! ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং! নাকি একটু নিরিবিলিতে পাহাড়়ের কোলে দিন দুয়েক কাটিয়ে আসা? আপনার ইচ্ছা যদি দ্বিতীয়টা হয় তবে ঘুরে আসতে পারেন চাটাইধুরা। যারা একটু আধটু অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদেরও এই জায়গাটা মন্দ লাগবে না। জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে রাস্তা। অনেকটা এগোলে তবে ভিউ পয়েন্ট। এটাই হাওয়াঘর। সেখান থেকে উন্মুক্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা। দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ১৮ কিমি দূরে এই গ্রাম। গ্রামের নাম চাটাইধুরা। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম। প্রায় ৬৯৫৬ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই গ্রাম। নির্জন, নিরিবিলি স্থানে প্রকৃতিকে দেখার সুযোগ রয়েছে এই গ্রামে। আর তার সঙ্গে যে শব্দটি সবার আগে আসে সেটা হল অপূর্ব সুন্দর। কুয়াশায় মোড়া পাহাড়ি গ্রাম।
একাধিক হোমস্টে রয়েছে এখানে। সেখানে থাকতে পারেন। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে যা কিছু চান আপনি সবটা পাবেন এখানে। চাটাইধুরাতে পাহাড়ের কোলে আছে শিবের একটি সুন্দর মন্দির। সেখানেও দুদন্ড কাটিয়ে দিতে পারেন। কাছাকাছি যে সমস্ত পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গাগুলি রয়েছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল ঘুম মনাস্ট্রি, ঘুম রেল স্টেশন, টাইগার হিল, হিমালয়ান মাউন্টেনারিং ইনস্টিটিউট সহ একাধিক দ্রষ্টব্য জায়গা। তবে এখানে এলে হাওয়াঘর ভিউ পয়েন্টে যেতে ভুলবেন না। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে যেতে হবে আপনাকে। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলা পথ। এক আদিম প্রকৃতির সন্ধান পাবেন আপনি। তবে গেলে যে দৃশ্য দেখবেন তা মনে থাকবে অনেকদিন।
দিন দুয়েক কাটিয়ে দেওয়ার জন্য চাটাইধুরা বেশ সুন্দর। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়িতে আসতে পারেন চাটাইধুরা। এখানকার দূরত্ব প্রায় ৭২ কিমি। দার্জিলিংগামী বাসে সস্তায় ঘুম পর্যন্ত এসে, তারপর সুখিয়াপোখরির গাড়িতে শিবমন্দির স্টপেজে নেমে পড়ুন। কাছেই রয়েছে হোমস্টে। তাই আর দেরি না করে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।