মহানগর ডেস্ক : জেলাগুলির তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০-এর ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। দহন জ্বালায় পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। আর্দ্রতাজনিতকষ্টে ভুগছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। কলকাতাতেও তাপমাত্রা ৪০এর দোরগোড়ায়। এদিকে, অসহ্য গরমেই নাকি শুরু হয়েছে বিয়ের তোরজোর। চৈত্র পার করলেই বৈশাখ মাস। তার আগে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের জন্য সেরে রাখা হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। ১৬০০০ বিয়ে হতে চলেছে এপ্রিল-মে মাসে। তাও শুধুমাত্র বাংলায়।
একদিকে বিয়ের তোরজোর শুরু, অন্যদিকে, জোর কদমে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতিও।
রাজ্যে ১৯ এপ্রিল তিন কেন্দ্রে ভোট। প্রচারে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মরশুমেই কেন বিয়ের হিড়িক? নেপথ্যে কি বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে? স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট মোতাবেক বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য সমস্ত নথি দিয়ে ৩০ দিন আগে আবেদন জানাতে হয়। আর হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে সাত দিন আগে করতে হয় রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, যাবতীয় আবেদন যাচাই করা হয়। এরপরেই এপ্রিল এবং মে মাসে রেজিস্ট্রির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর সংখ্যাটা ১৬ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ ভোটবঙ্গে বিয়ের উপর আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়ছে না বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
এই গরমে বিয়ের তোরজোরের কথা শুনে অস্বস্তি বাড়ারই কথা। যেমন গরম, তেমন আর্দ্রতাজনিত কষ্ট বাড়ছে দিন দিন। খাওয়া দাওয়া থেকে সাজ পোশাক-সব কিছুই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে, রেজিস্ট্রি করলেও অনেকে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন পরেই। যেহেতু আগে থেকে ম্যারেজ রেজিস্টারকে বুক করার বিষয় থাকে, আর বৈশাখ যেমন বাংলা মাসের শুরু, তেমনই বিয়ের বিয়ের মাস, ফলে আগে থেকেই ডেট ঠিক করে ফেলেছেন অনেকে। সেই সময় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়নি। সবটা একসঙ্গে হলেও সঠিক ভাবেই ম্যানেজ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পাত্র ও পাত্রীপক্ষের পরিবারের লোকজনরা।